বিজ্ঞাপন

রাজশাহীতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষায় হচ্ছে শেখ মুজিব স্কয়ার 

December 20, 2017 | 9:54 am

জোসনা জামান, স্টাফ করসপনডেন্ট:

বিজ্ঞাপন

নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে রাজশাহী নগরীর প্রবেশ দ্বারে তৈরি হচ্ছে শেখ মুজিবুর রহমান স্কয়ার। এর মধ্যদিয়ে মুক্তি যুদ্ধের স্মৃতি ধরে রাখার পাশাপাশি জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন, দর্শন ও সুদূর প্রসারি ভাবনা সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যাবে।

স্কয়ারটি এক দশমিক ৪২ একর জমির উপর বেজমেন্টের মধ্যে গাড়ী পার্কিং, আর্ট গ্যালারি এবং জলধারা বেষ্টিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরি করা হবে। এছাড়া ৬ হাজার ৩৩২ দশমিক ৭১ বর্গমিটার বিশিষ্ট গ্রাউন্ড ফ্লোরে আধুনিক সাউন্ড সিস্টেম, লাইটিং এবং ডিজিটাল স্ক্রিন যুক্ত স্থায়ী আর্ট গ্যালারি এবং মিউজিয়াম থাকবে। এক হাজার ৫৭৬ দশমিক ৮৬ বর্গমিটার বিশিষ্ট ফার্স্ট ফ্লোরের মধ্যে আধুনিক রেস্টুরেন্ট, দৃষ্টি নন্দন ল্যান্ডস্কেপ, উম্মুক্ত স্থানে বসা এবং বিনোদনের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া, লিফট, জেনারেটর, সোলার প্যানেল এবং ইলেকট্রিসিটি সরবরাহের জন্য সাব-স্টেশন স্থাপন করা হবে বলে জানাগেছে।

সূত্র জানায়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে ৫৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘তালাইমারী চত্তরে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্কয়ার’নামের একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। ইতিমধ্যেই অনুমোদনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আগামী সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০১৯ সালে জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার পথনকশা হলো রুপকল্প-২০২১। সে অনুযায়ী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান এর স্মৃতি রক্ষার মাধ্যমে তার স্বপ্ন, দর্শন ও সুদূর প্রসারী ভাবনা এবং মুক্তিযুদ্ধের সার্বিক ইতিহাস সম্পর্কে নতুন প্রজন্মের নিকট তুলে ধরা সম্ভব হবে। এতে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার কাজ আরো এগিয়ে যাবে। তাছাড়া, স্কয়ারটি নির্মিত হলে তা রাজশাহী শহরের একটি ল্যান্ড মার্কে পরিণত হবে। এসবের মাধ্যমে রাজশাহী মহানগরীর সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশের অন্যতম বড় গণকবর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ওই জায়গাটি পাকিস্তানী বাহিনী ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করত। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ও আদর্শ সংরক্ষণ এবং পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছানোর জন্য রাজশাহীতে তেমন কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সেজন্য জাতির জনক ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকে স্মরণ করা এবং জনগণের শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য রাজশাহী নগরীর প্রবেশদ্বার তালাইমারী মোড়ে জাতির জনকের নামে একটি স্কয়ার নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে কমিশনর ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে স্বাধীনতা যুদ্ধ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে জনসাধারণ বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে। এতে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার কাজ আরো এগিয়ে যাবে।

বিজ্ঞাপন

(সারাবাংলা/জেজে/ জিআ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭)

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন