‘সমবায় সমিতিতে কৃষিকে অগ্রাধিকার দিলে মানুষ সুফল পাবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশব্যাপী যেসব সমবায় সমিতি রয়েছে, সেগুলো কৃষিকে অগ্রাধিকার দিয়ে কার্যকর করা গেলে সাধারণ মানুষ সুফল পাবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ৪৭৯টি উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিমিটেডের অধীনে দেশে প্রায় ৯০ হাজার প্রাথমিক সমবায় সমিতি রয়েছে। এসব সমিতির উপকারভোগী ৩০ লাখ পরিবার। কৃষি উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দিয়ে এসব সমিতিকে কার্যকর করা গেলে সাধারণ মানুষ তার সুফল পাবে। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ আরও মজবুত হবে।

রোববার (২১ এপ্রিল) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের ৩৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা ও ড. আখতার হামিদ খান পল্লী ও সমবায় উন্নয়ন পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির মাধ্যমে দেশের গ্রামীণ জনপদ ও তৃণমুলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করা সম্ভব। তাই এসব সংগঠনের অব্যবস্থাপনা দূর করতে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শ করে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া কুমিল্লার ড. আখতার হামিদ খানের মডেল অনুসরণ করে তাদের দেশে গ্রামীণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে সফলতা পেয়েছে। তাই সমবায়ীদের সম্ভাবনা, সমস্যা ও সংকট সমাধানে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের সভাপতি খন্দকার বিপ্লব মাহমুদ উজ্জলের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম, বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক আ. গাফফার খান, সমবায় অধিদফতরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম।

সারাবাংলা/আরএফ/জেআর/টিআর