বিজ্ঞাপন

শিক্ষক সংকটে ‘নাকাল’ ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

April 22, 2024 | 8:47 am

এমদাদুল ইসলাম ভূট্টো, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

ঠাকুরগাঁও: খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। শিক্ষক ও আবাসন সংকটে নাকাল কারিগরি শিক্ষার এই প্রতিষ্ঠান। আবাসন ব্যবস্থার অভাবে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। থাকা-খাওয়ার সমস্যার জন্য প্রতিষ্ঠানটির নারী শিক্ষার্থীদের ভর্তির হার দিন দিন কমে যাচ্ছে। বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ ছাত্রী।

বিজ্ঞাপন

প্রতিষ্ঠানটির তথ্য মতে, ২০০৪ সালে ঠাকুরগাঁও বিসিক এলাকায় ২ একর জমির ওপর স্থাপন করা হয় কারিগরি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। এখানে পাঁচটি টেকনোলজিতে ১১১ জন শিক্ষক পদের বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ৩৪ জন। এর মধ্যে ৩ জন রয়েছেন প্রেষণে। জমির অভাবে ল্যাবের আয়তন বাড়ানো যাচ্ছে না। ফলে প্রতিষ্ঠানটি তার লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষক স্বল্পতার কারণে একজনকে প্রতিদিন স্বাভাবিক ৫টি ক্লাসের বাইরেও দুই শিফটে দ্বিগুণ ক্লাস নিতে হচ্ছে। এতে পাঠদানে শিক্ষকরা যেমন মনোযোগ রাখতে পারছেন না, তেমনি শিক্ষার্থীরাও মানসম্পন্ন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সংকটের কারণে অতিথি শিক্ষক দিয়ে দায়সারা পড়ালেখা চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ ইনস্টিটিউটে ৫টি টেকনোলজিতে প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী প্রকৌশল বিদ্যায় পড়াশোনা করছেন। দুই একর জায়গায় প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধা নেই। ফলে শহরের বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীদের মেসে থেকে পড়াশোনা করতে হয়। এতে বাড়তি খরচসহ নিরাপত্তা নিয়ে ও নানা বিড়ম্বনায় পড়েন তারা।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থী উপেন চন্দ্র রায় বলেন, ‘এভাবেই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ হয়ে গেলো। না পেলাম শিক্ষক, না পেলাম হল সুবিধা। আবাসন সুবিধা না থাকায় যাতায়াতে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের পরের ব্যাচের শিক্ষার্থীরা যেন এই সমস্যাগুলোর সম্মুখীন না হয়।’

একই কথা জানান আরেক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘শিক্ষক সংকটে প্রকৌশল বিদ্যার মতো বিষয়গুলো আমরা ভালো করে শিখতে পারছি না। এখানে শিক্ষার্থীদের বিনোদনের কোনও জায়গা নেই।; উত্তরসূরিদের জন্য সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের দাবি জানান সপ্তম সেমিস্টার শেষ করা এই শিক্ষার্থী।

ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের চিফ ইনস্ট্রাক্টর সঞ্জয় বণিক জানান, এখানে শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো আবাসন ব্যবস্থা নেই। অধ্যক্ষের জন্য একটি বাসভবন আছে।

বিজ্ঞাপন

ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘নানারকমে জোড়াতালি দিয়ে চলছে এই প্রতিষ্ঠানটি।’

সারাবাংলা/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন