বিজ্ঞাপন

প্রথম আলোর প্রতিবেদন একপেশে: রিজভী

April 23, 2024 | 4:26 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ‘ফিরে দেখা: ২১ এপ্রিল ১৯৭৭, যেভাবে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি সায়েম’ শিরোনামে ২১ এপ্রিল দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও একপেশে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, ‘এই প্রতিবেদনে একপেশে বিকৃত তথ্য উপস্থাপন করে ইনিয়ে বিনিয়ে জিয়াউর রহমানকে খাটো করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। এর আগে, ২০২২ সালের ২৫ মে ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্টে আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে তাঁরই উত্তরসূরি আরেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করেছিলেন’—এরকম একটি তথ্য বিকৃত করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছড়ানো হয়। আর বানোয়াট এ তথ্য নিয়ে সেই সময় খবর প্রকাশ করে সময় টিভি, চ্যানেল আই, বাংলা ট্রিবিউন, নিউজ বাংলা ২৪ ডটকম এবং সরকারি সংবাদ সংস্থা বাসসসহ বিভিন্ন সরকারপন্থী মিডিয়া।’

তিনি বলেন, ‘বানোয়াট এসব তথ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র এবং আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া হয়। পরে আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী গণমাধ্যম এএফপি বিষয়টির ফ্যাক্টচেক করে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে তথ্যপ্রমাণসহ উঠে আসে যে, জিয়াকে নিয়ে প্রচারণা আর খবর প্রকাশের বিষয়টি ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচার আর ইতিহাস বিকৃতি করার অপচেষ্টা।’

বিজ্ঞাপন

রিজভী বলেন, ‘মূল বইটিতে জিয়া সম্পর্কে এরকম কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সেই একই সুবিধামতো গ্রন্থাংশ ব্যবহার করে গতকাল ২১ এপ্রিল দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যাচার করা হয়েছে। এখন আর বর্তমান সরকারের কোনো রাজনীতি নেই। ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে বা কব্জায় নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারের নোংরা খেলা শুরু করেছে। জিয়াউর রহমানকে নিয়ে এহেন ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে এসব মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও কুৎসায় সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত।

সারাবাংলা/এজেড/এনইউ

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন