বিজ্ঞাপন

বিএসটিআই আইনের সব ধারায় সাজা বাড়ল

May 28, 2018 | 2:05 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন আইন-২০১৮ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনটির ১৯৮৫ সালের একটি অর্ডিনেন্স আকারে ছিল। তা সংশোধন করে নতুন আইনে আনা হয়েছে। এখানে বড় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে শাস্তিগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মাদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এ আইনে ২৭ ধারায় লাইসেন্স বাদে স্ট্যান্ডার্ড মার্ক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখানে পূর্বের আইনে এ শাস্তি ছিল অনূর্ধ ৬ মাস এবং ১৫ হাজার টাকা জরিমানা। শাস্তির পরিমান বাড়িয়ে কারাদণ্ড করা হয়েছে ২ বছর আর আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে অনূর্ধ্ব ২ লাখ টাকা। তবে এ আর্থিক শাস্তি ২৫ হাজার টাকার নিচে নয়।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, এ আইনে কতিপয় নাম ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইনে স্ট্যান্ডার্ড মার্ক বলতে বাটখারা বা চিহ্নকে বুঝানো হয়েছে। এটা অবশ্যই লাইসেন্স ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শফিউল আলম বলেন, ‘এ আইনের ২০ ধারায় বলা হয়েছে রফতানি নিষিদ্ধ পণ্য রফতানিতে শর্ত লঙ্ঘন করলে শাস্তি অর্থদণ্ডসহ এক বছর বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে। রফতানি নিষিদ্ধ পন্য রফতানি সংক্রান্ত সে শর্ত লঙ্ঘন করা হচ্ছে এ আইনে মূল অপরাধ। তবে অর্থদণ্ড ছিল না। এখন তা নির্ধারিত করে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা, সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকার বিধান রাখা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এ আইনে ২১ ধারায় বলা হয়েছে কতিপয় পণ্য বিক্রিয় বিপণন, বিতরণ বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন লঙ্ঘন করলে শাস্তি হবে ৪ বছর। আর অর্থদণ্ড হবে অনধিক ২ লাখ টাকা, তবে ৫০ হাজার টাকার নিম্নে নয় বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আইনের ৩১ ধারায় বলা হয়েছে কোনো ধারায় যদি অপরাধের ধরন ফেলা না যায় তাহলে এক লাখ টাকা সর্বোচ্চ জরিমানা ও সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা। এখানে কোনো জেলের বিধান নেই।’

৩২ ধারায় বলা হয়েছে, ‘একই অপরাধ যদি দ্বিতীয়বার করে তাহলে তার শাস্তি সংশ্লিষ্ট ধারায় দ্বিগুণ হবে। যদি কেউ এমন শাস্তিতে সংক্ষুব্ধ হোন তাহলে তিনি নির্ধারিত ফিস পরিশোধ করে সরকারের কাছে আপিল করতে পারবেন।’

এ ছাড়া মন্ত্রিসভা জাতীয় পাটনীতি-২০১৮ নামে নতুন পরিমার্জিত আইনের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি জানান, মানসম্মত পাট উৎপাদন, পাটের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণ, পাট পণ্যের বহুমুখিকরণ, পাটকল সমূহের আধুনিকায়ন ও পাট পণ্যের সম্প্রসারণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এ আইনে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এইচএ/একে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন