বিজ্ঞাপন

মিয়ানমারের দাবি ৫৮ রোহিঙ্গা ফিরেছে, বাংলাদেশ বলছে জানা নেই

May 28, 2018 | 4:43 pm

। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে মিয়ানমারে ৫৮ জন রোহিঙ্গা নাগরিক ফিরে যাওয়ার যে দাবি মিয়ানমার করেছে, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য বাংলাদেশের জানা নেই বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারে বাংলাদেশের শরণার্থী প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার আবুল কালাম এনডিসি।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া তদারকির দায়িত্বে থাকা এই কর্মকর্তা আজ সোমবার (২৮ মে) সারাবাংলা’কে বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা জানা নেই।’

এর আগে, গতকাল রোববার (২৭ মে) মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলরের এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ৫৮ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজার শিবির থেকে প্রত্যাবাসনের পর মিয়ানমারের অভ্যর্থনা কেন্দ্রে পৌঁছেছে।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রাখাইনের বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য গত বছরের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়। চুক্তি অনুযায়ী ফেরত আসা জনগোষ্ঠীকে নাগা খু ইয়া ও তাঙ পিও লিটইউ অভ্যর্থনা কেন্দ্রে রাখার কথা। অভ্যর্থনা কেন্দ্রে সংশ্লিষ্টদের পরিচয় যাচাই শেষে হালা পোহ খুয়াংয়ের ট্রাজিট শিবিরে প্রাথমিকভাবে রাখা হবে।’

দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য মিয়ানমারের ইউনিয়নমন্ত্রী ড. ইউন মাই আয়ে গত এপ্রিলে কক্সবাজার ও মে মাসে ঢাকা সফর করেন উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হলেও বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর সবাই প্রত্যাবাসনের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে জানে না। ফলে তাদের অনেকেই স্বেচ্ছায়, নিজেদের উদ্যোগে কক্সবাজার থেকে রাখাইনে ফেরত এসেছে।’

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী, প্রত্যাবাসন নির্দিষ্ট কাঠামো অনুযায়ী এবং স্বেচ্ছায় হতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী, ফেরত আসাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। চুক্তি অনুযায়ী ফেরত আসা ৫৮ জনকে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করে দিয়েছেন। এই ৫৮ জনকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং নাগা খু ইয়া’র অভ্যর্থনা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে তাদেরকে হালা পোহ খুয়াংয়ের ট্রাজিট শিবিরে প্রাথমিকভাবে রাখা হবে।’

বিজ্ঞাপন

তবে যারা সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

তবে কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া নিয়ে মিয়ানমারের দাবি অস্বীকার করেছেন কক্সবাজারের শরণার্থী প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার আবুল কালাম এনডিসি। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা আমাদের জানা নেই। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষই এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবে।’

সারাবাংলা/জেআইএল/টিআর

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন