‘হতাশা থেকে শ্রাবণের ধারার মতো মিথ্যা বলছেন ওবায়দুল কাদের’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়যর যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপি নেতারা হত্যাশ বা ক্লান্ত নয়। বরং হতাশা থেকে শ্রাবণের ধারার মতো অনর্গল মিথ্যা বলছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুরে উত্তর বাড্ডায় পথচারীদের মাঝে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তীব্র তাপদাহে নগরবাসীকে কিছুটা স্বস্তি দিতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপিও অনুরূপ কর্মসূচি পালন করে আসছে।

রিজভী বলেন, ‘বিএনপি নেতারা কেউ দেশ ছেড়ে যাচ্ছে না। দেশ ছেড়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতারা এবং তাদের স্বজনরা। অন্যদিকে শত নিপীড়নেও বিএনপি নেতারা রাজপথে আছে এবং সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘ব্যাংক লুট করে, হলমার্ক কেলঙ্কোরি করে, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার নির্মাণের নামে টাকা লুটপাট করে সে টাকা তারা বিদেশে পাচার করেছে। তারা মালয়েশিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরি করে তাদের স্ত্রী-সন্তানদের, আত্মীয়স্বজনদের সেখানে পাঠিয়ে দিচ্ছে।’

রিজভী বলেন, ‘আমরা তো আছি জেলে আসা-যাওয়ার মধ্যে। শত নিপীড়নেও রাজপথে কর্মসচি অব্যাহত রেখেছি। আমরা জুলুম নির্যাতনের কাছে মাথানত করব না।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শ্রমিকদের কল্যানে কিছুই করেনি। বরং শ্রমিকরা ন্যায্য দাবিতে, বেতনের দাবিতে, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করতে গেলে তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শ্রমিক নেতা আমিনুল হককে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। রানা প্লাজায় প্রায় হাজারো শ্রমিক হতাহত হল, তাজরিন গার্মেন্টে ১০০ শ্রমকি প্রাণ হারাল। সেগুলো মানুষ ভুলে যায়নি।’

রিজভী বলেন, ‘আজ এক এক মাসের মতো দেশে খড়া চলছে, অগ্নি প্রবাহ চলছে, নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এগুলো হল চেইন রিএকশন। জিয়া খাল খনন, নদী খনন, বৃক্ষরোপন, সেচ ব্যবস্থাসহ যেসব কল্যানমূলক কাজ করেছিল, সেগুলো সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁওয়ে মানুষ সেচের জন্য পানি পাচ্ছে না। সব কছিুর জন্য ডামি সরকারই দায়ী।’

বিএনপি নেতা বরকত আলীর সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, দলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, মহানগর বিএনপির নেতা ভিপি শামসুল হক, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/এনইউ