বিজ্ঞাপন

বোরো ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের হাঁসি

May 2, 2024 | 4:24 pm

ড. মিহির কুমার রায়

যেদিকে চোখ যায় হাওড়ের বুকজুড়ে নানা বয়সি মানুষের বোরো মৌসুমের স্বতঃস্ফূর্ত ব্যস্ততা। হাওড়ের হাজারো কৃষকের মুখে এখন সোনার হাসি। হাওড়ের খলায়-খলায় এখন ধান কাটা, মাড়াই, শুকানো ও সিদ্ধ করার কাজে ব্যাস্ত তারা। দেশের পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় এই জলভান্ডারের নিচু জমি দেশের খাদ্যশস্যের বড় জোগানদার। বোরো মৌসুমে হাওড়াঞ্চল দেশের ২০ শতাংশের মতো চালের জোগান দেয়। সাত জেলার হাওড়ে এ বছর বোরো আবাদ হয়েছে ৪ লাখ ৫২ হাজার হেক্টর জমিতে, আর হাওড় ও হাওড়ের বাইরে উঁচু জমি মিলে মোট বোরো আবাদ হয়েছে ৯ লাখ ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৪০ লাখ টন চাল। এবার বৃষ্টি না হওয়ায় হাওড়ের সব ধান কৃষকের ঘরে উঠবে এবং কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম, মিঠামইন ও ইটনা উপজেলায় এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কয়েকটি হাওড়ে সরজমিনে দেখা গেল, বোরো ধান কাটার এ উৎসবে শুধু কৃষান-কৃষানিই নয়, বাড়ির সব বয়সি মানুষই এসে হাত লাগিয়েছে ধানকাটা, মাড়াই এবং গোলায় তোলার উৎসবে। এদের কেউ ক্ষেত থেকে ধান কাটছে, কেউ কেউ ক্ষেতেরই ফাঁকা স্থানে ‘খলা’ তৈরিতে ব্যস্ত, ধান কাটা শেষে ইঞ্জিনচালিত ট্রাক্টর দিয়ে তা জমি থেকে খলায় নিয়ে আসা হচ্ছে, খলায় বুংগা মেশিন (মাড়াই কল) দিয়ে চলে মাড়াই, পরে সেখানেই শুকানো হচ্ছে মাড়াইকৃত ধান। তীব্র রোদে শুকানো ধান বস্তাভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গোলায়, বিভিন্ন উপজেলার হাওড়ে লেগেছে বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ধুম।

বিজ্ঞাপন

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি উপজেলায় ১ লাখ ৬৬ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। তাতে অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ২৯০ হেক্টর। জেলার হাওড়াঞ্চলেই বোরো ধান চাষ হয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমিতে। এখন পর্যন্ত কিশোরগঞ্জের হাওড় এলাকায় প্রায় ৬২ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে এবং আগামী মে মাসের ১০ তারিখের মধ্যে হাওড়ে ধান কাটা সম্পূর্ণ হবে বলে তিনি জানান। চলতি বোরো মৌসুমে হাওড়ের জেলা সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলায় সরকারি হিসাব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ ধান কাটা হয়ে গেছে, এর মধ্যে হাওড়ে ৮৫ শতাংশ এবং নন হাওড়ে ৭০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে জেলার ১২ উপজেলা- সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, মধ্যনগর, ধর্মপাশা, দিরাই, শাল্লা, ছাতক, জগন্নাথপুর, দোয়ারাবাজার ও শান্তিগঞ্জের ছোট বড় ১৩৭টি হাওড়ে বোরো আবাদ করা হয়েছে। আগাম বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের আশঙ্কায় জেলা প্রশাসন জেলার সব উপজেলার কৃষকদের দ্রুত ধান কাটার জন্য মাইকিং করেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের উপপরিচালক জানান, জেলার হাওড়ের ধান কাটতে আর ৫ দিন সময় এবং নন হাওড়ে ২০ দিন সময় লাগবে, এ বছর জেলায় আবাদকৃত জমি থেকে ১৩ লাখ ৫৩ হাজার মে. টন ধান উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। নেত্রকোনার হাওড়ের ৮৫ ভাগ বোরো ধান কাটা শেষ: কৃষান-কৃষানিরা এখন ধান কাটা মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন, জেলার হাওড়াঞ্চলে বোরো ধান কাটা প্রায় শেষের দিকে, হাওড়ে ৮৫ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। খালিয়াজুরী হাওড় পাড়ের কৃষক বলেন, এ বছর হাওড়ে শিলাবৃষ্টি ও পোকার আক্রমণে ব্রিধান- ২৮ এর ফলন কিছুটা কম হলেও অন্যান্য জাতের ধানের ভালো ফলন হওয়ায় এবং বর্তমানে ধানের বাজারমূল্য ভালো থাকায় তারা লাভবান হবেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক বলেন, নেত্রকোনা জেলার ৬টি হাওড় উপজেলায় ৪০,৯৭০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়, এর মধ্যে ব্রিধান-২৮, ব্রিধান-২৯, ব্রিধান-৮৮, ব্রিধান-৮৯ ও হাইব্রিড জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। আর তিন-চার দিনের মধ্যে হাওড়ের বাকি ধান কাটা শেষ হবে, হাওড়ে মোট ৭৩০টি হারভেস্টার ও ৩৪টি রিপার মেশিন ধান কর্তনে নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া মেশিনের পাশাপাশি ১৬ হাজার শ্রমিকও হাওড়ে ধান কাটছে, এ সমস্ত শ্রমিকের মধ্যে ৫ হাজারের অধিক শ্রমিক বহিরাগত। হাওড়ের ধান কর্তন প্রায় শেষের দিকে হলেও সমতল জমির বোরো ধান কাটা কেবল শুরু হয়েছে। সমতল জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭৬৫ হেক্টর। এই পরিমাণ জমি থেকে বোরো ধান গতকাল পর্যন্ত কাটা হয়েছে ২২ হাজার হেক্টর, উঁচু জমিতে দেরিতে আবাদ হওয়ায় ধান পাকতেও দেরি হয়, তবে আগামী ৭/৮ দিনের মধ্যেও উঁচু জমির ধান অর্ধেক কাটা হয়ে যাবে। এদিকে ধান মাড়াইয়ের পর বিক্রি শুরু করেছেন কৃষকরা বিশেষ করে যারা ঋণ নিয়ে ধানের আবাদ করেছেন তারা ঋণ পরিশোধের জন্য মাঠেই কাঁচা ধান বিক্রি করছেন, এতে তাদের আক্ষেপ নেই, কারণ, এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় হাওড়ের ধান শুকনো থাকায় তুলনামূলকভাবে ভালো দাম পাচ্ছেন তারা। ক্ষেত্রবিশেষে ব্রি-২৮, ব্রি-২৯ চিকন ধান ১০০০ থেকে ১১৫০ টাকা দামে মাঠ থেকেই কিনে নিচ্ছেন পাইকাররা। আর মোটা ধান বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে, তবে চিটা হয়ে যাওয়া ধানের দাম তুলনামূলক কম; সর্বোচ্চ ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার কৃষক, পাইকার, চালকল ব্যবসায়ী ও কৃষি কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন। একজন ব্যবসায়ী হাওড়ে ধান কিনতে এসে বলেন, চিকন ভেজা ধান তিনি ৯৭০ থেকে ৯৮০ টাকা মণ দরে কিনছেন, মোটা ধানে ৮২০ থেকে ৮৩০ টাকা দিচ্ছেন, শুকনো চিকন ধান কিনছেন ১১৪০ থেকে ১১৫০ টাকা করে, আর মোটা শুকনো ৯৫০ টাকা করে নিচ্ছেন। তবে সুনামগঞ্জের কৃষকরা ধানের দাম নিয়ে বিশেষ খুশি নয়, তাদের কিছু ধান নষ্ট হয়েছে, কিছু ধান চিটা হয়েছে, তারা প্রতি মণে দাম পাচ্ছেন ৯০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা। এক গ্রামের কৃষক প্রীতম দাস বলেন, হাওড়ের কৃষকের হাত এখন খালি। তাই সংসার চালাতে সস্তায় ধান বিক্রি করছেন তারা প্রতি মন ৯০০ টাকায়। আবার এলাকার বড় কৃষক বলেন, চৈত্র মাস থেকেই কৃষক অভাবে থাকে, তাই সংসারের চাহিদা মেটাতে আগাম বাজারে প্রচলিত মূল্যের চেয়ে কম দামে ধান বিক্রি করে দেন তারা এবং এবার ভালো ফলন হলেও দাম কম। এত গেল হাওরের বোর ধান উৎপাদন ও বিপণন মূল্য নিয়ে মাঠের কিছু ফলাফল।

এখন আসা যাক নীতি নির্ধারনি পর্যায়ের কিছু তথ্য উপাত্ত নিয়ে আলোচনা যা প্রাসঙ্গিক। খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকার এবার বাজার থেকে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টন ধান ও চাল কিনবে। এর মধ্যে ৪ লাখ টন ধান, ১২ লাখ ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি বোরো মৌসুমে এখন পর্যন্ত হাওরে ৭০ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে, এর মধ্যে সিলেটে ৫৫ ভাগ, মৌলভীবাজারে ৭০ ভাগ, হবিগঞ্জে ৬৭ ভাগ, সুনামগঞ্জে ৭৩ ভাগ, কিশোরগঞ্জে ৫৮ ভাগ, নেত্রকোনায় ৭৭ ভাগ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬৭ ভাগ। কৃষি মন্ত্রণালয় এর তথ্য অনুযায়ী হাওরভুক্ত ৭টি জেলার হাওরে এ বছর বোরো আবাদ হয়েছে ৪ লাখ ৫২ হাজার হেক্টর জমিতে, হাওর ও হাওরের বাইরে উঁচু জমি মিলে মোট বোরো আবাদ হয়েছে ৯ লাখ ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৪০ লাখ টন চাল। সম্প্রতি ঈদের আগে সুনামগঞ্জের হাওরে বোরো ধান কাটা উৎসবে কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ও সময়মতো ধান ঘরে তুলতে পারলে এ বছর বোরোতে রেকর্ড উৎপাদন হবে। শুধু সুনামগঞ্জেই এক হাজার কম্বাইন হারভেস্টারে ধান কাটা চলছে জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এবার ধান কাটায় কোন সমস্যা হবে না। উল্লেখ্য, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে এ বছর সারা দেশে ৫০ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ কোটি ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বোরো ধান আবাদ হয়েছিল ৪৮ লাখ ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে, উৎপাদন হয়েছিল প্রায় ২ কোটি ২ লাখ টন চাল।

এখন আসা যাক হাওরের কৃষকদের দুশ্চিন্তার কারন যা হলো উজান থেকে আসা পাহাড়ী ঢলে ফসলের ক্ষতি যা কোন নূতন ঘটনা নয় যার ব্যতিক্রম শুধু চলতি বছর। আগের অভিঙ্গতা হলো গত দুবছর আগে দেখা যায় ত্রাণ মন্ত্রণালয় বলছে হাওরের ৬টি জেলায় ৫৫টি ইউনিয়নের ১৮ হাজার ২০৫টি বাড়ী পরিপূর্ণ ও আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। এই ব্যাপারে হাওর অঞ্চলভিত্তিক গবেষকগণ বলেছেন বিগত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতায় এত বড় বিপর্যয় চোখে পড়েনি, এরি মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হাওর অঞ্চলের কৃষি ঋণের সুদ মওকুফ এবং ঋণ আদায় বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তার সাথে আরও ঘোষনা রয়েছে হাওরের কৃষকদের পরবর্তী ফসলের মৌসুমে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের কথা। সরকার বলছে হাওরের ধান নষ্ট হওয়ার ফলে দেশের মোট ধানের উৎপাদনে হিসাবে তেমন কোন প্রভাব ফেলবে না কিন্তু হাওর নিয়ে নিরপেক্ষ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন এই ক্ষতির প্রভাব পড়বে জাতীয় অর্থনীতিতে কারণ হাওর মহা পরিকল্পনা হিসাবে দেশের মোট ধানের ১৮ শতাংশ এবং উন্মুক্ত উৎসের মাছের ২৮ শতাংশ আসে হাওর থেকে। আবার জাতীয অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে হাওর অঞ্চলের অবদান ৬ শতাংশ অর্থাৎ হাওর সর্বসময়েই অবহেলিত হয়ে আসছে যা তখনকার পাহাড়ী ঢলের সৃষ্টি আগাম বন্যার কারণে তা সকলের নজর কেড়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিগত কয়েক মাস ধরে হাওর অঞ্চলের সাংবাদিক, সাহিত্যিক, সমাজ সংগঠক, নিরপেক্ষ গবেষক অনেক লেখালেখি করেছেন এবং এ লেখার ধারা এখনও অব্যহত রয়েছে। এই সকল লেখা থেকে এই বিশেষ অঞ্চলটির সামাজিক প্রেক্ষাপট, সংস্কৃতি, রাজনীতি ও অর্থনীতির পরিচয় পাওয়া যায় সত্যি কিন্তু সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকার ধরণ কৃষিভিত্তিক এক ফসলী জমি নির্ভর যা অন্য অঞ্চলে দেখা পাওয়া দুষ্কর। তাই একটি প্রাকৃতিক অনিশ্চয়তা সব সময়ই এই এলাকার অর্থনীতিকে তাড়িয়ে বেড়ায় বিশেষত: উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আসা পাহাড়ী ঢলের আতংকটি। যদি ভাগ্য সুপ্রসন্য হয় তাহলে ফসল ঘরে তোলা যায় আর তা না হলে দু:খ কষ্টে ভরে যায় হাওর বাসীর জীবন যা কোনভাবেই জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সম্পৃক্ত নয় ভৌগোলিক অবস্থানের ফসল। বিভিন্ন সংস্থা যারা এই হাওর অঞ্চল নিয়ে গবেষণা করে কিংবা মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে তাদের গবেষণার ফলাফল হলো দীর্ঘ দিন ধরে পাহাড়ী ঢলের সাথে বালিবাহিত হয়ে নদী সহ প্রাকৃতিক জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় পাহাড়ী ঢলের কারণে প্রবাহিত জলধারা ধারণের ক্ষমতা লোপ পায়। আবার হাওর রক্ষার বাঁধগুলোর নির্মাণ দুর্বলতা এত পশ্চাতপদ যে অল্প স্রোতেই সেগুলো তাদের স্ককিয়তা হারিয়ে ফেলে। এক সময়ে হাওর অঞ্চলের বনতুলশী ও হিজল গাছ এখন আর তেমন দেখা যায় না যেগুলো মাটির সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক ছিল। এই ভৌগোলিক পরিবর্তনগুলোর বিজ্ঞানভিত্তিক কোন বিশ্লেষণ কোন গবেষক কিংবা সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর করে নি। যার ফলশ্রুতিতে প্রকৃতি তার স্বাভাবিক ধারায় আচরণ করে চলছে যা হাওরবাসীর জীবন জীবিকার সাথে সাংঘর্ষিক তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ এখন নিত্যদিনের সাথী হয়ে দাড়িয়েছে যার প্রকৃত প্রমাণ অতীতের বন্যায় কৃষকের প্রাণহানি তথা কৃষকের ক্ষয়ক্ষতি। তাই এর একটি স্থায়ি সমাধান জরুরী খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে।

লেখক: কৃষি অর্থনীতিবীদ

বিজ্ঞাপন
প্রিয় পাঠক, লিখতে পারেন আপনিও! লেখা পাঠান এই ঠিকানায় -
sarabangla.muktomot@gmail.com

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত মতামত ও লেখার দায় লেখকের একান্তই নিজস্ব, এর সাথে সারাবাংলার সম্পাদকীয় নীতিমালা সম্পর্কিত নয়। সারাবাংলা ডটনেট সকল মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে মুক্তমতে প্রকাশিত লেখার দায় সারাবাংলার নয়।

সারাবাংলা/এসবিডিই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন