বিজ্ঞাপন

ক্ষোভে হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন ‘বৃক্ষমানব’ বাজনদার

May 28, 2018 | 10:08 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রোগ কোনোদিন ভাল হবে না জেনে চিকিৎসকদের না জানিয়েই ‘বৃক্ষমানব’ আবুল বাজনদার ক্ষোভে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। গত শনিবার (২৬ মে) ভোরে সেই আবুল বাজনদার চিকিৎসকদের না জানিয়ে গোপনে হাসপাতাল ছেড়ে যান। ওইদিন সকালে চিকিৎসক ও নার্স ছয় তলার কেবিনে গিয়ে দেখে আবুল নেই।

ফোনে কথা আবুল বাজনদারের সাথে। আবুল বলেন, ‘চিকিৎসকদের না বলে চলে এসেছি। কারণ আমি শুনেছি আমার এ রোগ কোনোদিন সারবে না। চিকিৎসরা বলছেন, তোমার এটা জেনেটিক রোগ। একবার সারলেও আবার হবে। তাই না বলে আমি চলে এসেছি। এ পর্যন্ত ২৫বার অপারেশন হয়েছে আমার। আমার হাতের রোগ একেবারে ভাল হবে না। আরও অপারেশন করতে হবে।’

আবুল অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রথম প্রথম হাসপাতালের সবাই আমার সাথে ভালো ব্যবহার করতো। খাবারও দিতো তিন জনের। এখন খাবার দেয় একজনের। আমাদের খুব কষ্ট হতো। তারা বলতো কেবিন থেকে বেশি বের হওয়া যাবে না।’

বিজ্ঞাপন

বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আবুল কাউকে কিছু না বলে শনিবার ভোরে চলে গেছে। সে ছুটি চেয়েছিল। তাকে বলেছিলাম একটি কাগজে স্বাক্ষর করে যেতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে ২৫বার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে আবুলের। আমরা আবার অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু তার আগেই হাসপাতাল ত্যাগ করলো আবুল। কবির হোসেন নামে একজন চিকিৎসক তাকে বাড়ি বানানোর জন্য ছয় লাখ টাকা দেন। তারপরও আবুল এভাবে হাসপাতাল ছেড়ে যাবে, আমরা বুঝতে পারিনি।’

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে আবুল বাজনদার হাতে পায়ে শিকড় নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে ভর্তি হন। এরপর তার চিকিৎসকরা মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা শুরু করেন আবুলের। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, আবুল এপিডার্মো ডিসপ্লেশিয়া ভেরুকোফরমিস ভাইরাসে আক্রান্ত। আবুলের চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসেন সয়ং প্রধানমন্ত্রী। আবুলের সব খরচ রাষ্ট্রীয়ভাবে করার এবং থাকা-খাওয়া ওষুধসহ যাবতীয় সব খরচ হাসপাতালকে বহন করার নির্দেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএসআর/এমও

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন