বিজ্ঞাপন

মুক্তামনিকে দেখতে না যাওয়ার কষ্ট পোড়াচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে

May 28, 2018 | 11:17 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: মুক্তামনিকে দেখতে না পারার, হাসপাতালে ভর্তি মুক্তামনিকে সময়ের অভাবে দেখতে না আসতে পারার কষ্ট পোড়াচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন সারাবাংলাকে এসব কথা বলেন।

 সোমবার (২৮ মে) পেশাজীবীদের সম্মানে দেওয়া ইফতার মাহফিলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয় ডা. সামন্ত লাল সেনের। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী মুক্তামনির কথা স্মরণ করে দুঃখপ্রকাশ করেন।

বিজ্ঞাপন

ডা. সামন্ত লাল সেন সাারাবাংলাকে বলেন, “আমাকে দেখেই প্রধানমন্ত্রী মুক্তামনির প্রসঙ্গ তোলেন। দেখা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি বলেন, ‘সামন্ত, আমি কষ্ট পেয়েছি মুক্তামনিকে দেখতে না পেয়ে। আমার খুব কষ্ট লাগছে। আমার খুব ইচ্ছে ছিল, কিন্তু সময়ের অভাবে দেখতে যেতে পারিনি, এরপর মেয়েটা চলেই গেল।”

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আমি তাকে বললাম, আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি। আপনার চেষ্টা, সব সমর্থনসহ চিকিৎসকদের চেষ্টার কথা মুক্তামনির বাবা ইব্রাহীম হোসেন জানেন এবং তিনি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ। মুক্তামনির বাবা বলেছেন, তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন, আপনার জন্য দোয়া করবেন।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে খুব বেদনাহত দেখাচ্ছিল বলে জানান ডা. সামন্ত লাল। তিনি বলেন, ‘আমি অবাক হয়ে দেখছিলাম, একজন রোগীর জন্য একজন প্রধানমন্ত্রীর এতটা মমতা থাকতে পারে!’

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, গত ২৩ মে নিজ বাড়িতে মারা যায় সাতক্ষীরার ১১ বছর বয়সী মুক্তামনি। ২০১৭ সালের ১২ জুলাই ঢামেক বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয় মুক্তামনি। প্রথমে তার রোগটিকে বিরল রোগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পরে বায়োপসি করে জানা যায়, তার রক্তনালীতে টিউমার হয়েছে। তখন তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা।

মুক্তামনির সব রিপোর্ট দেখে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা তার চিকিৎসায় অস্বীকৃতি জানান। এরপর ঢামেকের চিকিৎসকরাই তার অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন। পরে মুক্তামনির চিকিৎসার সব ধরনের খরচের দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা ছয় মাস ঢামেক বার্ন ইউনিটে চলে তার চিকিৎসা। পরে ২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মুক্তামনিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয় বার্ন ইউনিট থেকে। তার আরো কিছু অপারেশন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই সুযোগ না দিয়েই মুক্তামনি পাড়ি জমালো না ফেরার দেশে।

সারাবাংলা/জেএ/টিআর

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন