বিজ্ঞাপন

কোভিড ভ্যাকসিন প্রত্যাহার করে নিচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা

May 9, 2024 | 9:41 am

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে ৩০০ কোটির বেশি ডোজ দেওয়ার পরে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড ভ্যাকসিন প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলছে, এই ভ্যাকসিনের জন্য তারা ‘দারুণভাবে গর্বিত’। কিন্তু বাণিজ্যিক কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

কোম্পানিটি বলছে, করোনভাইরাসের নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট বেড়ে যাওয়ার অর্থ এটিই যে চাহিদা এখন আরও আধুনিক ভ্যাকসিনগুলোর দিকে স্থানান্তরিত হয়েছে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসনি মহামারির সময় লাখ লাখ জীবন বাঁচিয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তবে এটি ব্যবহারের ফলে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার মতো বিরল ও প্রাণঘাতী ঘটনাও ঘটেছিল।

বিশ্বকে মহামারি লকডাউন থেকে বের করে আনার লড়াইয়ে রেকর্ড সময়ের মধ্যে কোভিড ভ্যাকসিন তৈরি করেছিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। ১০ বছর সময় লাগতে পারে এমন একটি প্রক্রিয়াকে ১০ মাসে নামিয়ে এনেছিলেন তারা।

বিজ্ঞাপন

২০২০ সালের নভেম্বরে একে ‘বিশ্বের জন্য ভ্যাকসিন’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। কারণ এটি ছিল অন্যান্য কোভিড ভ্যাকসিনের তুলনায় অনেক সস্তা এবং সংরক্ষণ করাও সহজ।

ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকা ব্যাপক পরিমাণে এই ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে সম্মত হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসতে যুক্তরাজ্যের পরিকল্পনার মূলে ছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই ভ্যাকসিন কার্যক্রম।

ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক অ্যাডাম ফিন বলেন, সত্য হলো এটি একটি বিশাল পার্থক্য তৈরি করেছিল। ফাইজারের ভ্যাকসিনের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে সেই সময়ের বিপর্যয় থেকে এটিই আমাদের বের করে এনেছিল।

বিজ্ঞাপন

যদিও ভ্যাকসিনটির বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে অস্বাভাবিক রক্ত জমাট বাঁধার মতো ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে এর সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যুক্তরাজ্যও তখন অন্যান্য বিকল্পগুলোর দিকে নজর দেয়।

এক বিবৃতিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছে, স্বতন্ত্র হিসাব অনুযায়ী কেবল ব্যবহারের প্রথম বছরেই ৬৫ লাখেরও বেশি জীবন বাঁচিয়েছে আমাদের ভ্যাকসিন। আমাদের প্রচেষ্টা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সরকারের স্বীকৃতি পেয়েছে এবং বৈশ্বিক মহামারি থামানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যাপকভাবে বিবেচিত হয়েছে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছে, নতুন উদ্ভাবিত যেসব ভ্যাকসিন কোভিডের পরিবর্তিত রূপগুলোর ওপর আরও ভালোভাবে কাজ করছে সেগুলোই এখন বিস্তৃতি লাভ করেছে। এর অর্থ হলো আধুনিক এসব ভ্যাকসিন উদ্বৃত্ত রয়েছে, যার ফলে তাদের ভ্যাকসিনের চাহিদা কমেছে এবং তারা আর ভ্যাকসিন তৈরি কিংবা সরবরাহ করছে না।

অধ্যাপক ফিন আরও বলেন, আমি মনে করি ভ্যাকসিন প্রত্যাহার করার অর্থ এই যে এটি আর কাজে আসছে না। এটি প্রমাণিত হয়েছে যে এই ভাইরাসটি ভীষণ সক্রিয় এবং প্রথম দিকের ভ্যাকসিনগুলোর সঙ্গে সঙ্গে বিবর্তিত হয়েছে। তাই সেগুলো এখন আর কাজে আসছে না। কেবল নতুন ফর্মুলায় তৈরি ভ্যাকসিনগুলো এখন কাজ করছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
সম্পাদক পদে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞামিঠাপুকুর-পীরগঞ্জে নির্বাচন কাল, ভোটার উপস্থিতিই চ্যালেঞ্জরামপুরা-মোহাম্মদপুরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকদের অবরোধর‌্যাব হেফাজতে নারীর মৃত্যু: ক্যাম্প কমান্ডার প্রত্যাহারছাদ থেকে পড়ে মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীর মৃত্যুএকদিন এই আর্সেনাল শিরোপা জিতবেই: আর্টেটাহেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট-পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিহতরাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, সেখানে ‘প্রাণের চিহ্ন নেই’আগামী মৌসুমেই সিটিকে বিদায় বলবেন 'ক্লান্ত' গার্দিওলা?রাইসিকে বহনকারী দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারের সন্ধান মিলেছে সব খবর...
বিজ্ঞাপন