বিজ্ঞাপন

প্রবীণ রাজনীতিক হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেন

May 11, 2024 | 9:29 am

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেন। শুক্রবার (১০ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

বিজ্ঞাপন

সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জলি তালুকদার জানান, প্রবীণ এই বামপন্থি নেতা গত সোমবার সন্ধ্যায় অসুস্থ বোধ করলে তাকে রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার তীব্র শ্বাসকষ্ট ছিল। এরপর তিনি তার ধানমন্ডি বাসা থেকে চিকিৎসা নেন। গত রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আবার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

জলি তালুকদার আরও জানান, হায়দার আকবর খান রনোর মরদেহ এখন ধানমন্ডিতে তার বাস বাসভবনে নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে তার মরদেহ সমরিতা হাসপাতালে নিয়ে রাখা হবে। তার মেয়ে ও নাতি-নাতনী কানাডা থেকে দেশে ফিরবেন। আগামী সোমবার বনানী কবরস্থানে তার বাবা মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে। এর আগে হায়দার আকবর খান রনোর মরদেহ পুরানা পল্টন পার্টি অফিসে নেওয়া হবে। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে নেওয়া হবে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।

দেশে কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম নেতা, বিশিষ্ট মার্কসবাদী তাত্ত্বিক হায়দার আকবর খান রনোর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের কলকাতায়।

বিজ্ঞাপন

তিনি ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক। ১৯৭০ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের রণাঙ্গনের সৈনিক এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও নেতা। তিনি ১৯৮২-১৯৯০ এর সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন ও ১৯৯০ এর গণ অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক ও নেতা ছিলেন।

তিনি দীর্ঘদিন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য ছিলেন। ১৯৬৯ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১০ সালে মতভিন্নতার কারণে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ছেড়ে হায়দার আকবর খান সিপিবিতে যোগ দেন। ২০১২ সালে তাকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়। এরপর তিনি সিপিবির উপদেষ্টা হন।

হায়দার আকবর খান রনো একাধারে তাত্ত্বিক, বুদ্ধিজীবী এবং বহু গ্রন্থের লেখক। তিনি ২০২২ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/আইই

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন