বিজ্ঞাপন

জেন্ডার বাজেট থাকলেও সামাজিক কারণে নারীরা বঞ্চিত

May 13, 2024 | 8:58 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো চারটি মন্ত্রণালয়ের জন্য জেন্ডার বাজেট প্রস্তাব পেশ করা হয়। পরে এই প্রক্রিয়া আরও ব্যাপ্ত হয়ে ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরেও জেন্ডার বাজেট উপস্থাপিত হয়। তবে ধারাবাহিকভাবে জেন্ডার বাজেটে আলাদা বরাদ্দ থাকলেও সামাজিক কারণে নারীরা প্রাপ্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। উত্তরাধিকার আইনের কারণে সম্পদের মালিকানা না থাকায় বরাদ্দ থাকলেও নারী উদ্যোক্তারা ঋণ পাচ্ছেন না।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৩ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫: নারীসমাজের প্রত্যাশা’ শিরোনামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের (বিএনপিএস) নির্বাহী পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবীর এসব কথা বলেন। বিএনপিএসের পরিচালক শাহনাজ সুমী সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা। তিনি বলেন, সরকার জেন্ডারবান্ধব বাজেট করলেও বাস্তব অগ্রগতি নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো পর্যালোচনা বা সমীক্ষা পাওয়া যায় না। পর্যবেক্ষণের অভাবে বাজেটে বরাদ্দের কতটুকু নারীর জীবনের কোন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলো, সে বিষয়েও কোনো তথ্য-উপাত্ত নেই। তাই মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর বরাদ্দ করা জেন্ডার বাজেটের কার্যক্রমগুলো কীভাবে সরাসরি নারীর ক্ষমতায়ন ও জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালার কর্মপরিকল্পনার সঙ্গে সম্পর্কিত, তার অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রতি বছর তৈরি ও জনসমক্ষে পেশ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে রোকেয়া কবীর বলেন, দেশের ৫০ শতাংশ জনগোষ্ঠীই নারী; যাদের সিংহভাগই সম্পদহীন, ক্ষমতাহীন, উপার্জনের সুযোগবঞ্চিত ও পরনির্ভরশীল। গত কয়েক বছরের বাজেটে নারীদের বড় আকারের ঋণ সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু একজন নারীকে বড় আকারে ঋণ নিতে হলে সম্পদ বন্ধক দিতে হয়। যার উত্তরাধিকারে সমান অধিকার নেই, তিনি কীভাবে সম্পদ বন্ধক রাখবেন? সম্পদ বন্ধক ছাড়া নারীদের ঋণ প্রদানের নিয়ম চালু করতে হবে। এ জন্য উত্তরাধিকার আইনে নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। খাসজমির বণ্টনে নারীদের ক্ষেত্রে শর্তবিহীন (উপযুক্ত ছেলে থাকা) বণ্টন নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

বরাদ্দ করা বাজেটের মাধ্যমে নারীর জীবনের কোন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলো, সে বিষয়ক তথ্য-উপাত্ত বা খতিয়ান আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে উপস্থাপনের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। একইসঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জেন্ডার বাজেটে ফোকাস পয়েন্টের তথ্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ওয়াবসাইটেও প্রকাশের দাবি জানানো হয়।

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন