বিজ্ঞাপন

দায়িত্ব পালন না করে সম্মানি নিয়েছেন কুবি উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ!

May 14, 2024 | 9:17 pm

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট

কুমিল্লা: গত ১০ মে, শুক্রবার গুচ্ছভুক্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের বাণিজ্য বিভাগ অর্থাৎ সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ওই দিন ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক দিক দেখার কথা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এফ এম আবদুল মঈন ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামানের। কিন্তু ওই দায়িত্ব পালন না করে কুবি উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকের বিরুদ্ধে সম্মানী নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষকরা বলছেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ এই সম্মানী নিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১০ মে, শুক্রবার গুচ্ছভুক্ত সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) কেন্দ্রের সার্বিক দিক দেখার অংশ হিসেবে উপাচার্যকে ১৫ হাজার টাকা ও কোষাধ্যক্ষকে ১২ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের অভিযোগ, উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ তাদের কেউই ওই দিন ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রের সার্বিক চিত্র দেখার জন্য ভর্তি পরীক্ষার কক্ষ পরিদর্শনে যাননি। তবে এর আগে গত ২৭ এপ্রিল এ’ ইউনিট এবং ৩ মে বি’ ইউনিটের সার্বিক চিত্র দেখতে ক্যাম্পাসে এসেছিলেন তারা।

সি’ ইউনিটের কুবির অর্থ কমিটির সদস্য সচিব শুভ্র ব্রত সাহা জানান, সদস্য সচিব হিসেবে তিনি তার দায়িত্ব পালন করেছেন। বিস্তারিত জানতে হলে, প্রতিবেদককে অর্থ কমিটির আহ্বায়কের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

দায়িত্ব পালন না করে কীভাবে উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ সম্মানী নিলেন এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, ভিসি বাংলো ক্যাম্পাসের অন্তর্ভুক্ত। আমি অর্থ কমিটির দায়িত্বে ছিলাম কিন্তু অর্থ বণ্টন করে অর্থ দফতর। এতগুলো মানুষের টাকা এক ঘণ্টার মধ্যে বণ্টন করা সম্ভব না বিধায় পরীক্ষা শুরুর আগে থেকেই বণ্টন করা হয়েছে। অর্থ বণ্টনের পর উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ স্যার কেন্দ্রে আসছেন কিনা আমার জানা নেই।

বিজ্ঞাপন

অর্থ দফতরের উপ-পরিচালক মো. নাছির উদ্দিন বলেন, ‘উপাচার্য স্যার বাংলোতে ছিলেন। আমি শুধু আমার দায়িত্ব পালন করেছি। এর বেশিকিছু বলতে পারব না।’

ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্ল্যাহ বলেন, ‘ভিসি আর ট্রেজারার স্যার বাংলোতে ছিলেন। তারা আমার সঙ্গে ছিলেন না। তবে উপ-উপাচার্য স্যার সার্বক্ষণিক আমার সঙ্গে ছিলেন। আমার সঙ্গে বিভিন্ন দফতরেও গিয়েছেন।’

উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ কেন ক্যাম্পাসে আসেননি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেন আসেননি তা আমি জানি না।’

বিজ্ঞাপন

কুবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, ‘দায়িত্ব পালন না করেই তারা সম্মানী নিয়েছেন। এটি দুর্নীতি। এটি মেনে নেওয়া যায় না।’

সম্মানী গ্রহণের বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমি অফিস করেছি। ডিউটি রোস্টারে আমার সইও আছে।’

কোষাধ্যক্ষ অফিসের সেকশন অফিসার নমিতা পাল বলেন, ‘যতক্ষণ আমি অফিসে ছিলাম স্যারকে দেখিনি। এরপর আমি পরীক্ষার ডিউটিতে চলে যাই। পরীক্ষা শেষে বাংলোতে গেলেও স্যারকে পাইনি।’

উপাচার্যের পিএস টু ভিসি হোসাইন মোরশেদ ফরহাদ বলেন, ‘স্যার ক্যাম্পাসে আসেননি। তবে বাংলোতে ছিলেন। স্যারের মন খারাপ ছিল বলে হয়ত তিনি ওইদিন ক্যাম্পাসে যাননি।’

বিজ্ঞাপন

সার্বিক বিষয়ে জানতে কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এফ এম আবদুল মঈনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। এমনকি ভিসি বাংলোতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

সারাবাংলা/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন