বিজ্ঞাপন

স্যালুট না দিয়ে আসল পুলিশের কাছে ধরা নকল পুলিশ

May 15, 2024 | 8:18 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার (পশ্চিম) কার্যালয়ে গিয়ে নিজেকে পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়েছিলেন এক তরুণী। কিন্তু সেখানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে রীতি অনুযায়ী স্যালুট দেননি তিনি। তার আচরণ ও কথাবার্তাও ছিল সন্দেহজনক। এই সন্দেহ থেকেই তাকে জেরা করা হয় এবং একপর্যায়ে ধরা পড়ে যান ওই তরুণী।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় নগরীর আগ্রাবাদে উপপুলিশ কমিশনার কার্যালয় থেকে ওই তরুণীসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার দুজন হলেন— শাহনাজ আক্তার শান্তা (১৯) ও মনির মিয়া (৫১)।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের পাটোয়ারী সারাবাংলাকে বলেন, মনির মিয়ার ভ্যান গাড়ি পুলিশের হেফাজতে ছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শান্তা ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার (পশ্চিম) কার্যালয়ে গিয়ে নিজেকে পুলিশ পরিচয় দেন এবং ডিসি স্যারকে জানান, মনির মিয়া তার চাচা। ফেরার সময় তিনি ডিসি স্যারকে স্যালুট না দিয়েই বের হয়ে যান।

এ পর্যায়ে সন্দেহ হলে ওই তরুণীকে আটক করে ডবলমুরিং থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি পুলিশ নন বলে স্বীকার করে নেন। জানান, মনিরও তার চাচা নন।

বিজ্ঞাপন

ওসি ফজলুল পাটোয়ারি বলেন, শান্তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত দেড়টায় বেপারিপাড়া এলাকায় তার ভাড়া বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে তার বাসা থেকে পুলিশের পোশাকের দুটি শার্ট, একটি প্যান্ট, বেল্ট ও ক্যাপ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা শার্টের একটিতে ডিএমপির মনোগ্রাম, অন্যটিতে সিএমপির মনোগ্রাম আছে।

পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘পুলিশের ইউনিফর্মগুলো শান্তা কোথায় পেয়েছেন, সে তথ্য সঠিকভাবে জানাচ্ছেন না। একবার বলছেন ঢাকায় পেয়েছেন, আবার বলছেন চট্টগ্রাম থেকে কিনেছেন। তার স্বামী মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান নগদের বিক্রয় প্রতিনিধি। গ্রেফতার মনির তার প্রতিবেশী বলে জানিয়েছে শান্তা। জিজ্ঞাসাবাদে এর বেশি কিছু তারা বলেননি। তাদের রিমান্ডে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আইসি/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন