বিজ্ঞাপন

ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বারবার ধর্ষণ

May 18, 2024 | 10:34 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বহুল আলোচিত একজন নারী জুজুৎসু ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বারবার ধর্ষণ করতেন বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম নিউটন।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা ৬টায় কারওয়ান বাজার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটনের বিরুদ্ধে নারী ক্রীড়াবিদের যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

পরবর্তীতে জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের একজন নারী খেলোয়াড় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন। র‌্যাব ধর্ষণে জড়িত নিউটন ও তার এক নারী সহযোগীকে রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।

বিজ্ঞাপন

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত রফিকুল ইসলাম নিউটন একজন জুজুৎসু খেলার প্রশিক্ষক। পাশাপাশি সে রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এই অ্যাসোসিয়েশনের অধিকাংশ প্রশিক্ষণার্থী নারী। যেখানে অভিভাবক হিসেবে এই কোমলমতি মেয়েদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। কিন্তু সেই ব্যক্তি কোমলমতি মেয়েদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তার হীনচরিত্র চরিতার্থ করার প্রয়াস চালান।

গ্রেফতার রফিকুল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদকের মতো পদে থেকে প্রশিক্ষণার্থীদের ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া এবং বিদেশ ভ্রমণের আশ্বাস দেখিয়ে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের মতো অপকর্ম করতেন বলে জানা যায়।

এছাড়াও তিনি অ্যাসোসিয়েশনের অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে গর্ভবতী হলে তাদের গর্ভপাত করানোর মতো ভয়ংকর কাজও করেছেন বলে জানা যায়। এমনকি অনুশীলনের আগে মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে প্রবেশ করে তাদের ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলে রাখতেন।

বিজ্ঞাপন

কমান্ডার আরাফাত বলেন, ‘মামলার এজাহার সূত্রে আরও জানা যায় গ্রেফতার রফিক গ্রেফতার অপর এক নারী খেলোয়াড়ের সহায়তায় অন্য নারী খেলোয়াড়দের প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌন হয়রানিসহ শারীরিক সম্পর্ক করতেন।’

ভিকটিম বিগত দুই বছর রফিকের অধীনে জুজুৎসু খেলার প্রশিক্ষণ নিয়ে আসছিলেন। খেলার প্রশিক্ষণকালীন বিভিন্ন অজুহাতে ভিকটিমকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করতেন। ভিকটিম প্র্যাকটিস শেষে চেঞ্জিং রুমে পোশাক পরিবর্তন করার সময় গ্রেফতারকৃত নারী খেলোয়াড় ভিকটিমকে রুমের মধ্যে আটকে রেখে গ্রেফতার রফিকুল ইসলামকে ডেকে আনে এবং রফিকুল রুমে প্রবেশ করে ভিকটিমকে ধর্ষণ করেন।

পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত নারী খেলোয়াড় রুমে প্রবেশ করে মোবাইল ফোনে ভিকটিমের নগ্ন ছবি ধারণ করেন এবং কাউকে জানালে ভিকটিমের নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।

রফিকুল ইসলাম ভিকটিমের নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে রাজধানীর একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন বলে জানায়।

বিজ্ঞাপন

ঘটনাটি গণমাধ্যমে জানাজানি হওয়ার পর রফিকুল আত্মগোপনে চলে যান। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রফিকুল ও তার একজন নারী সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।

তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে র‌্যাব জানিয়েছে।

সারাবাংলা/আরডি/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন