বিজ্ঞাপন

দিল্লির দাসত্ব গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি: ১২ দল

May 23, 2024 | 6:46 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, আধিপত্যবাদ, আগ্রাসন, গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে রাওয়ালপিন্ডি থেকে মুক্ত হয়েছিল দিল্লির দাসত্ব গ্রহণের জন্য নয়।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) গাজীপুর জেলার গাছা থানার আশরাফ মার্কেট এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে তারা এসব কথা বলেন।

নেতারা বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রেলগাড়ি ভরে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার যুদ্ধাস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় ভারত। তারা ১০ বিলিয়ন ডলারের খাদ্যশস্য লুট করে, ৮ বিলিয়ন ডলারের ত্রাণ সামগ্রী পাচার করে, ১.৫ ব্রিলিয়ন ডলারের পাট চুরি করে নিয়ে যায়। বাংলাদেশের শিল্প-কারখানা থেকে যন্ত্রাংশ চুরি করে আগরতলায় পাঁচটি নতুন শিল্প-কারখানা স্থাপন করে। ভারতে বাংলাদেশের জাল টাকা ছেপে দেশের বাজার সয়লাব করে দেয়। এভাবে শুরু থেকেই তারা স্বাধীন বাংলাদেশ শোষণ করে আসছে।

তারা বলেন, ভারতের ৫২৭টি পণ্যের মধ্যে বিষ পাওয়া গেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেগুলো নিষিদ্ধ করেছে। সর্বশেষ যুক্তরাজ্য, মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলংকাও ভারতের পণ্য বাজেয়াপ্ত করেছে। তাদের দু’টি ওষুধে ক্যানসারের মিশ্র উপাদান পাওয়া গেছে। সিঙ্গাপুর, হংকং সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। তাই আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছি।

বিজ্ঞাপন

ভারতের উদ্দেশে ১২ দলীয় নেতারা বলেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধ কর, আগ্রাসন নীতি পরিহার কর, বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ বন্ধ কর। কারণ, তোমার দেশে গণতন্ত্র থাকবে, আর আমার দেশে গণতন্ত্র যাতে না থাকে সেই ব্যবস্থা করবা- বাংলার মানুষ তা কোনো দিন গ্রহণ করবে না।

তারা বলেন, বিগত ১৬ বছরে সীমান্তে ১২০০ অধিক নিরীহ নাগরিককে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ফেলানীর লাশ যখন সীমান্তে ঝুলে থাকে তখন মনে হয় সমগ্র বাংলাদেশ কাঁটাতারে ঝুলে আছে।

নেতারা বলেন, যদি বন্ধু হও, যদি আমাদের প্রতিবেশী হও, তাহলে সীমান্তে অহরহ গুলি কেন? তাই আজকে বাংলার জনগণ, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই শুরু করেছে। আমরা ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে নই, আমরা ভারতের বন্ধু হতে চাই। কিন্তু যে বন্ধু আমাদের শোষণ করবে, যে বন্ধু আমাদের ফারাক্কা, তিস্তা, টিপাইয়ের ন্যায্য হিস্যা দেয় না, সে কি বন্ধ হতে পারে? কোনো দিনও বন্ধু হতে পারে না।

বিজ্ঞাপন

তারা আরও বলেন, আমরা আগ্রাসন মানি না, আমরা সীমান্ত হত্যা মানি না, আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করব। এই সামাজিক আন্দোলন ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। গণসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে ভারতীয় পণ্যের বিষক্রিয়ার কথা বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে এই লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হবে।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিমের নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণে অংশ নেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, প্রেসিডিয়াম মেম্বার নবাব আলী আব্বাস খান, জমিয়াতে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ মহাসচিব আবু হানিফ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান, লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আবুল বাশার, যুগ্ম মহাসচিব চাষী এনামুল হক, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন