বিজ্ঞাপন

এমপি আজীম হত্যায় তিন আসামি ৮ দিনের রিমান্ডে

May 24, 2024 | 5:19 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলায় গ্রেফতার তিন আসামির ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

আসামিরা হলেন সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও সিলাস্তি রহমান।

শুক্রবার (২৪ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালত এ আদেশ দেন।

এদিন তাদেরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুল ইসলাম তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

বিজ্ঞাপন

শুনানি শেষে আদালত তাদের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও সিলাস্তি রহমানকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

এর আগে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম ভারতে খুন হওয়ার ঘটনায় ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় গত ২২ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

এরপর গতকাল ২৩ মে সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্য অপহরণের মামলায় আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

মামলার এজাহার গ্রহণ করে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত এ আদেশ দেন।

মামলার এজাহারে এমপির মেয়ে উল্লেখ করেন, গত ৯ মে রাত আটটার দিকে আনোয়ারুল আজীম রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন। দুদিন পর ১১ মে মুমতারিন তার বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন। তাতে তার বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন বলে মনে হয়। এরপর মুমতারিন তার বাবার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তা বন্ধ পান। এরপর ১৪ মে ভারতের মুঠোফোন নম্বর থেকে তার এক স্বজনের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটি খুদে বার্তা আসে। এতে লেখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সাথে ভিআইপি আছে। আমি অমিত সাহার কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নেই। আমি পরে ফোন দিব।’ এই খুদে বার্তা ছাড়াও ভারতের ওই মুঠোফোন নম্বর থেকে আরও কয়েকটি খুদে বার্তা আসে তাদের মুঠোফোন নম্বরে। এই খুদে বার্তাগুলো অপহরণকারীরা তারা বাবার মুঠোফোন ব্যবহার করে দিয়ে থাকতে পারে।

বিজ্ঞাপন

মামলায় মুমতারিন আরও উল্লেখ করেন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় তার বাবাকে খোঁজ করতে থাকেন। সন্ধান না পেয়ে ভারতে অবস্থানরত তার বাবার বন্ধু শ্রী গোপাল বিশ্বাস ভারতের বরানগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপরও বাবাকে খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রাখেন। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারেন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার বাবাকে অপহরণ করেছে।

তিনি আরও বলেন, ১২ মে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভারতে গিয়ে আনোয়ারুল আজীম কলকাতায় তার পূর্বপরিচিত বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাসায় ওঠেন। গোপালের সঙ্গে তার ২৫ বছরের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। ১৩ মে বেলা ২টার দিকে তিনি চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা বলে গোপালের বাসা থেকে বের হন। তখন সন্ধ্যায় বাসায় ফিরবেন বলে জানিয়েছিলেন। এরপর আর বাসায় না ফেরার কারণে ১৮ মে কলকাতার বরাহনগর থানায় জিডি করেন গোপাল বিশ্বাস।

এরপরও আমরা খোঁজাখুজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে বাবাকে অপহরণ করেছে।

সারাবাংলা/কেআইএফ/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন