বিজ্ঞাপন

২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ, দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা প্রত্যাহার

May 27, 2024 | 8:59 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে সরকারের দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচির আওতায় এলাকার দরিদ্র মানুষদের প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে সংস্থাটির কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্ত কর্মকর্তা রাইসুল ইসলামকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। তবে আমানতের কোনো অর্থই ফেরত পাননি ভুক্তভোগীরা।

বিজ্ঞাপন

ভূক্তভোগীরা বলছেন, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে জয়পুরহাট সদর উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি চলছে। দরিদ্রদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে ওই কর্মসূচির অধীনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৭৮টি সমিতি খোলা হয়। প্রতিটি সমিতিতে ২০ থেকে ৩০ জন দরিদ্র সদস্য ভবিষ্যৎ ভাগ্যোন্নয়নের জন্য আমানত জমা করে থাকেন। এসব সমিতির মধ্যে সহকারী মাঠ কর্মকর্তা রাইসুল ইসলাম ১৬টি সমিতির সঞ্চয়সহ বিভিন্ন আমানতের টাকা তোলার কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এরই একপর্যায়ে রাইসুল সুযোগ বুঝে তার অধীন ১৬টি সমিতির বিভিন্ন দরিদ্র সদস্যদের প্রায় ২০ লাখ টাকা তুললেও সেগুলো অফিসের মূল রেজিস্ট্রারে উল্লেখ করেননি বা সংস্থাটির কোনো ব্যাংকেও জমা করেননি।

বিষয়টি জানাজানি হলে ভুক্তভোগী সদস্যরা সদর উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি কার্যালয়ে গিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তাদের অর্থ ফেরত চান।

বিজ্ঞাপন

দারিদ্র্য বিমোচন সদর উপজেলা শাখার এক সমিতির সদস্য মালা রানী বলেন, প্রায় চার বছর ধরে বাড়ির পাশের দারিদ্র্য বিমোচনের সমিতির সদস্য হয়ে প্রায় দুই লাখ টাকা জমা রাখছি। অথচ পাস বইয়ে থাকলেও অফিসে এসে শুনি টাকা জমা হয়নি। অনেক কষ্ট করে টাকা জমা রেখেছি মেয়ের ভবিষ্যতের জন্য। কষ্টের টাকাগুলো ফেরত চাই।

সুমাইয়া আক্তার নামে আরেক সদস্য বলেন, দুই পাস বইয়ে এক লাখ ৫২ হাজার টাকা জমা হয়েছে। অফিসে এসে টাকার কথা বললেই কর্মকর্তারা খারাপ ব্যবহার করেন। তিন মাস থেকে টাকা না দিয়ে ঘুরাচ্ছে।

মুক্তি রানী বলেন, আমাদের সদস্যদের টাকা অফিসের মূল রেজিস্ট্রারে উল্লেখ করেননি রাইসুল ইসলাম। অফিসের কোনো ব্যাংকেও জমা করেননি। আমরা এই সহকারী মাঠ কর্মকর্তা রাইসুলের বিচার চাই।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রাইসুলের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে সদর উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা সুফিয়া বেগম গ্রাহকদের আমানত আত্মসাতে রাইসুলের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

সুফিয়া বেগম বলেন, ‘অভিযুক্ত রাইসুলকে এখান থেকে প্রত্যাহার করে লালমনিরহাট সদর উপজেলা অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। প্রয়োজনে তার প্রাপ্য সরকারি অর্থ থেকে সমন্বয় করে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন