বিজ্ঞাপন

‘তারেকের আগে আপনার বিচার হয় কিনা, তার জন্য প্রস্তুত থাকেন’

May 27, 2024 | 1:50 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গতকাল আপনি বললেন- তারেক রহমানকে নিয়ে এসে বিচার করা হবে। এর আগেও অনেকবার বলেছেন। আমি বলতে চাই, তারেক রহমানকে দেশে নিয়ে এসে বিচার করার আগে আপনার বিচার হয়ে যায় কিনা, তার জন্য প্রস্তুত থাকেন। আপনি এমনভাবে ডুবতে শুরু করেছেন যে, আর তল খুঁজে পাচ্ছেন না।’

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৭ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকসহ কারাবন্দি নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধন আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী আরও বলেন, ‘আপনারা দেশের অর্থনীতি একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছেন। যত ঋণ নিয়েছেন তার চেয়ে অনেক বেশি সুদ হয়েছে। ওই সুদ পরিশোধ করতে হবে। আপনার সরকারের পাপের সুদসহ আপনার যে বিচার হবে ওই বিচারের জন্য প্রস্তুত থাকেন। তার পরে আপনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কথা বলবেন। আপনার ছাত্রলীগ ডাকাতি করে, নারীর শ্লীলতাহানি করে, আপনার যুবলীগ টেন্ডারবাজি করতে গিয়ে গত ১৬-১৭ বছরে নিজের দলের প্রায় ৫০ জন লোককে হত্যা করেছে। এই পাপগুলোর জন্য কি এদেশের আইনে বিচার হবে না?’

তিনি বলেন, ‘যাদের আপনি এমপি বানিয়েছেন, তারাই তো টাকা পাচার করেছে তাদেরই প্রতিপক্ষ কলকাতায় কয়েক টুকরো করে কোন-খালে বিলে ফেলেছে, এখন তা খুঁজে পাচ্ছেন না। এরা এমপি হয় কি করে? এর দায় তো আপনার (প্রধানমন্ত্রী)। আপনি মাফিয়া, ডাকাত, খুনিদের এমপি বানিয়েছেন। এই ভয়ঙ্কর পাপগুলোর কি বিচার হবে না? এমনি পার পেয়ে যাবেন।’

বিজ্ঞাপন

রিজভী বলেন, ‘আপনারা যাদের প্রভু মনে করেন, আপনি যাকে ওস্তাদ মনে করেন, সেই মোদি দাবি করেছে- তিনি নাকি ঈশ্বরের দূত! আপনার প্রভু নিজেকে ঈশ্বরের দূত মনে করে, আপনিও কি নিজেকে এরকম কিছু মনে করছেন যে, আপনার পাপের কোনো বিচার হবে না? প্রত্যেকটি অপকর্মের, প্রত্যেকটি অনাচারের বিচার এই পৃথিবীতেই হবে। পৃথিবীতে এর দৃষ্টান্ত আছে ভুরি ভুরি।’

রিজভী আরও বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের কারাগারে নিলে তিনি ঈদের চেয়ে বেশি আনন্দ পান। অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও একটি কাজ করে মহা আনন্দ লাভ করেন। সেটি হল- জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে বিষোদদগার। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তিনি অনেকদিন ধরে বন্দি করে রেখেছেন। তাকে চিকিৎসাও নিতে দিচ্ছেন না। তার না মিলছে মুক্তি, না মিলছে উন্নত চিকিৎসা।’

ঢাকা জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার শাহ মাইনুল হোসেন বিল্টুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটোসহ অনেকে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন