বিজ্ঞাপন

ইবিতে ঝড়ে উপড়ে গেছে গাছ, বিদ্যুৎ-পানি নেই হলগুলোতে

May 27, 2024 | 7:50 pm

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট

কুষ্টিয়া: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রোববার রাত থেকেই শুরু হয়েছে ঝড়বৃষ্টি। দীর্ঘ প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এর প্রভাব বেশি পড়েছে আবাসিক হলগুলোতে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে পানি উত্তোলনকারী মোটর চলছে না। ফলে পানি সংকটে নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

এদিকে সোমবার (২৭ মে) বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ঝড়ের গতিবেগ। তবে এসবের মাঝেও ক্লাস পরীক্ষা চালু রেখেছে কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন এলাকায় গাছ উপড়ে গেছে। প্রধান ফটকের সামনে ভেঙে পড়েছে গাছ। এছাড়া ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে নির্মাণ শ্রমিকদের আবাসস্থলের টিনের ছাউনি উড়ে গেছে। এছাড়া ক্যাম্পাসের দোকানপাট, টিএসসিসি এলাকা, কেন্দ্রীয় মসজিদ এলাকা, সাদ্দাম হল সংলগ্ন রাস্তা, বঙ্গবন্ধু হল সংলগ্ন রাস্তাসহ বিভিন্ন জায়গায় গাছ ও গাছের ডালপালা ভেঙ্গে পড়েছে। এছাড়া ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে রোববার রাত থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় হলগুলোতে তীব্র পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছে হলগুলোতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, হলে দীর্ঘসময় ধরে বিদ্যুৎ নাই। টয়লেটে পানিও নাই। বাহিরে তুমুল ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। এরমধ্যে অনেকেরই ক্লাস-পরীক্ষা আছে। পানি না থাকায় সকালে উঠে ফ্রেশ হওয়া ও গোসলটাও করতে পারছি না। সবমিলিয়ে খুব বাজে পরিস্থিতির মধ্যে আছি।

বিজ্ঞাপন

হৃদয় আহমেদ নামের এক ছাত্র বলেন, ‘আজকের এমন বৈরী আবহাওয়ায়ও ক্লাস পরীক্ষা চালু রাখার বিষয়টা কোনোভাবেই ভালো সিদ্ধান্ত না। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডারে সারা বছরে ১৫০ দিন ছুটি থাকে। আর এমন একটা দুর্যোগপূর্ণ দিনে ক্যাম্পাসে ক্লাস-পরীক্ষা চলবে এটা মোটেই কাম্য ছিলো না।’

জান্নাতুল তাজরিয়া নামের এক ছাত্রী বলেন, ‘আমাদের বাড়ি ক্যাম্পাস থেকে অনেকটা দূরে। এমন ঝড় বৃষ্টির দিনেও আমাদের স্যাররা ক্লাস বন্ধ রাখেনি। তারা আমাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করলে কখনোই এমন সিদ্ধান্ত নিতো না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বলেন, ‘স্বাভাবিক ভাবেই ক্লাস-পরীক্ষা চলবে। আমাদের এখানে খুব বেশি প্রভাব নেই। পরে যদি পরিস্থিতির অবনতি হয় তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) নাছিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঝড়ে আশপাশের এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। আমরা যেখান থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, তারা লাইন চেক করতেছে। অনেক স্থানে গাছলাপা ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগের উপর পড়েছে। আমরা জেনারেটর দিয়ে যতটুকু সম্ভব অফিসগুলো চালাচ্ছি। হল সহ অন্য অন্য সবদিকে কাভার করতে পারছি না। বিদ্যুৎ লাইন ঠিক করতে পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ কারজ করছে। ঠিক হতে বেশ সময় লাগবে।’

উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে আজ ২৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ক্লাস, পরীক্ষা ও অফিস বন্ধ রেখেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া ঘুর্ণিঝড়ের কারণে ২৭ মে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে গণবিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আজ টার্ম ফাইনালের সকল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে সিত্রাং, মোখাসহ বিভিন্ন ঝড়ের পূর্বাভাস থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন