বিজ্ঞাপন

বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ রাজধানীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৪ জনের মৃত্যু

May 28, 2024 | 10:24 am

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাজধানীতে চলমান বৃষ্টির মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পৃথক ঘটনায় নারীসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টা থেকে রাত দেড়টার মধ্যে এই পৃথক চারটি ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

মুমূর্ষু অবস্থায় স্বজন ও সহকর্মীরা তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহতরা হলেন, খিলগাঁও রিয়াজবাগ এলাকার রিকশাচালক রাকিব (২৫), খিলগাঁও সিপাহীবাগের মরিয়ম বেগম (৪৫), যাত্রাবাড়ীর লিজা আক্তার (১৬) ও বাড্ডা জিএম বাড়ি এলাকার আল আমিন (১৭)।

মৃত রাকিবকে হাসপাতালে নিয়ে আসা তার সহকর্মী খোকন মিয়া জানান, তারা খিলগাঁও রিয়াজবাগ ৬ নম্বর গলিতে একটি রিকশার গ্যারেজে থাকেন। ওই এলাকায় তারা রিকশা চালান। রাতে বৃষ্টির কারণে তাদের রিকশার গ্যারেজে পানি জমে ছিল। সেই পানির মধ্যে রিকশা রেখে ব্যাটারি চার্জ করছিলেন রাকিব। তখন চার্জার খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় সে।

রাকিবের বাড়ি ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলারর উত্তর চড়াইল গ্রামে। বাবার নাম মো. দুলাল হোসেন।

বিজ্ঞাপন

মৃত মরিয়মকে হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী মো. নাহিদ নামে এক যুবক জানান, রাত ৯টার দিকে খিলগাঁও সিপাহীবাগ আইসক্রিম গলির মক্কা টাওয়ারের পাশে একটি রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন মরিয়ম নামে ওই নারী। বৃষ্টির কারণে হাঁটু সমান পানি জমেছিল সেখানে।

তাদের ধারণা, জমে থাকা পানিতে বিদ্যুতের কোনো তার ছিঁড়ে পড়েছিল বা বৈদ্যুতিক খুঁটি বিদ্যুতায়িত হয়েছিল। আর সেখান থেকেই ওই নারী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ওই একই স্থানে কিছুদিন পরপরই এমন দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

নিহত মরিয়মের ছেলে মো. ইয়ামিন জানান, তাদের বাড়ি বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার। খিলগাঁওয়ের স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন তার মা।

বিজ্ঞাপন

মৃত লিজার ভাই মো. রাকিব জানান, তাদের বাড়ি নোয়াখালী জেলার চরজব্বার উপজেলার ধানেরশীষ গ্রামে। বাবার নাম সিরাজ মিয়া। বর্তমানে যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইল দরবার শরীফ এলাকায় ভাড়া থাকেন। লিজা এলাকায় একটি পলিথিন কারখানায় চাকরি করতো। রাত ৯টার দিকে বাসার পাশে টিনের প্রাচীর স্পর্শ করলে সেখান থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় সে। দেখতে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে মৃত আল আমিনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সহকর্মী জাহিদ হাসান জানান, আল আমিনের বাড়ি নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার কাশিপুর গ্রামে। বাবার নাম জাহাঙ্গির আলম। বর্তমানে বাড্ডা জিএম বাড়ি এলাকায় থাকে। ওই এলাকাতে যশোর টিম্বার নামে একটি স মিলে চাকরি করতো সে।

রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসা থেকে স মিলে আসার সময় রাস্তায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় আলআমিন। সেখান থেকে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাত দেড়টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো, বাচ্চু মিয়া জানান, রাতে পৃথক জায়গা থেকে চার জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঢাকা মেডিকেলে মারা যায়। চারটি মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএসআর/এমও

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন