বিজ্ঞাপন

২ দিন পর পুরোদমে সচল চট্টগ্রাম বন্দর

May 28, 2024 | 1:52 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব কেটে যাবার পর চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে জাহাজ ভিড়তে শুরু করেছে। শুরু হয়েছে জাহাজে পণ্য ওঠানামা।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ১১টা থেকে জেটিতে জাহাজ ভেড়ার পরপর পণ্য উঠানামার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক।

সচিব মো. ওমর ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব কাটলেও এখনও সাগর উত্তাল। তাই গত (সোমবার) জাহাজ ভেড়ানো যায়নি। আজ (মঙ্গলবার) সকালে ১৯টি জাহাজের মধ্যে ১০টি জাহাজ বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে। পণ্য উঠানামার কাজ একটু আগেই শুরু হয়েছে। বাকি ৯টি জাহাজ বহির্নোঙ্গর থেকে রওনা দিয়েছে।’

পণ্য খালাস বন্ধ করে গভীর সাগরে ফেরত পাঠানো ৪৯টি খোলা পণ্যবাহী জাহাজও বহির্নোঙ্গরে ফিরতে শুরু করেছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৭ মে) ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব কমে আসায় চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ফেরত আনার উদ্যোগ নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল থাকায় পাইলটরা গিয়েও বহির্নোঙ্গর থেকে জাহাজ আনতে পারেননি। জাহাজ আসতে না পারলেও দুপুরে ইয়ার্ডে অপারেশন আংশিকভাবে শুরু হয়েছিল।

শনিবার (২৫ মে) রাতে আবহাওয়া অধিদফতর ৬ নম্বর বিপদসংকেত জারির পর নিজস্ব ‘অ্যালার্ট-থ্রি’ অর্থাৎ বিপদ সংকেত জারি করেছিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এরপর নয় নম্বর মহাবিপদসংকেত জারির পর বন্দর তাদের নিজস্ব ‘অ্যালার্ট-ফোর’ জারি করে।

শনিবার রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের জারি করা বিশেষ নির্দেশনায় জেটিতে থাকা সব জাহাজকে জোয়ার শুরুর সঙ্গে সঙ্গে জেটি ত্যাগের কথা বলা হয়েছিল। বহির্নোঙ্গরে থাকা সব জাহাজকে রাত থেকেই গভীর সমুদ্রের উদ্দেশে রওনা দিতে বলা হয়। বন্দরের জেটি ও ইয়ার্ডে কনটেইনার পরিবহন ছাড়া বাকি সব ধরনের কার্যক্রম শনিবার রাতেই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৬ মে) সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি থেকে ১৬টি জাহাজ কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণে উজানে এবং বহির্নোঙ্গর থেকে ৪৯টি জাহাজ গভীর সাগরে চলে যায়।

সারাবাংলা/আইসি/এমও

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন