বিজ্ঞাপন

‘ভূ-রাজনীতি ও বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এগুতে হবে’

May 28, 2024 | 5:36 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হলে নতুন চিন্তা-ভাবনা নিয়ে এগুতে হবে। সকল দেশপ্রেমিক মানুষ, রাজনৈতিক শক্তি এবং দেশকে যারা ভালোবাসে তাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। দেশ রক্ষায় ভূ-রাজনীতিসহ বিশ্বপরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এগুতে হবে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি ঘোষিত ১৫ দিনের কর্মসূচির প্রথম দিন দলটির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের তো বয়স হয়ে গেছে। এখন কি আর রাইফেল ধরতে পারব? আমরা কি রাস্তায় মারামারি করতে পারব? পারব না। আমাদের এখন দরকার ইয়াং জেনারেশন। যখন যুদ্ধে ছিলাম তখন সবাই তরুণ-যুবক ছিলাম। মাথার মধ্যে দেশ স্বাধীন করা ছাড়া অন্য কিছু ছিল না। কে কী হবে, না হবে সেটা নয়। দল মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম। একমাত্র গোল ছিল দেশ স্বাধীন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘তখন দেশ স্বাধীন করার জন্য লড়াই করেছিলাম। এখন দেশ রক্ষা করার জন্য লড়াই করতে হবে। এদেশ বাঁচাতে হবে। এই লড়াইয়ে যদি আমরা পরাজিত হই, তাহলে নিঃশ্চিহ্ন হয়ে যাব।’

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজনীতি একটি বিজ্ঞান, রাষ্ট্র বিজ্ঞান। রাষ্ট্র বিজ্ঞানের সেই কাজগুলো আমাদের করতে হবে। বিজ্ঞানসম্মতভাবে আমাদের এগুতে হবে। জিয়াউর রহমানের যে ১৯ দফা সেটাকে অনুসরণ করতে হবে।’

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এরা পচে গেছে, দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে গেছে। যতই কথা বলুক এদের কোনো অস্থিত্ব নেই। তার প্রমাণ একেক করে সব জায়গায় হচ্ছে। দুর্নীতি ছাড়া আর কিছু নেই। এরা আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জীত।’

সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সময় হয়ে গেছে। ঘোরাঘুরি অনেক করেছেন। এখন দয়া করে ঘোরাঘুরি বন্ধ করেন। সঠিকভাবে যেন (সরকার) দাফন-কাফন হয়, মানুষ যাতে মনে রাখে, সেভাবে চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেন।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘এখানে কথা বলা বিপদ, এখানে আন্দোলন করাও বিপদ। কিন্তু এই বিপদকে কাঁটিয়ে উঠে আমাদের সাহস করে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদের যে ন্যায্য দাবি, তা আদায় করতে হবে। অর্থাৎ আমরা তো অন্য কিছু চাই না, আমরা শুধুমাত্র নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। সেই নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তার জন্য আমাদের আন্দোলন অবশ্যই বহাল থাকবে শুধু নয়; তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।’

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সিনিয়র সহ-সভাপত নজরুল ইসলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু, আবদুস সালাম, ফজলুর রহমান, মজিবর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কর্নেল (অব.) জয়লাল আবেদিন, জহির উদ্দিন স্বপনসহ অনান্যরা।

সারাবাংলা/এজেড/ইআ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন