বিজ্ঞাপন

‘খাদ্য উৎপাদন না বাড়লে মানুষ রোহিঙ্গাদেরও খেয়ে ফেলত’

May 28, 2024 | 8:19 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা খাদ্যের উৎপাদন না বাড়ালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ধরে বাংলাদেশিরা খেয়ে ফেলত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর। খাদ্যের উৎপাদন না বাড়লে মানুষ খাবার নিয়ে কুকুরের সঙ্গে কাড়াকাড়ি করতো বলেও মন্তব্য করেন ধান গবেষণার মহাপরিচালক।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৮ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘জিএমও নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। এগ্রিকালচার বায়োটেকনোলোজি কোয়ালিশন (এবিসি), গ্লোবাল সাউথ হাব, ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ ও এলায়েন্স ফর সাইন্স যৌথভাবে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

ব্রি’র ডিজি ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, ‘বিজ্ঞানীরা কাজ করছি সাধারণ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। আজকের বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষ, আজকে দেশে খাবারের অভাব নেই। যদি এই অর্জনটা না হতো কোটি কোটি মানুষ রাস্তায় না খেয়ে মারা যেত, কুকুরের সাথে মানুষ খাবার নিয়ে কাড়াকাড়ি করত। ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আমরা জায়গা দিচ্ছি, আমরা খাওয়াচ্ছি, টাকা হয়ত বাইরে থেকে আসছে, আমরা নিজেরা প্রডিউস করছি, সেখান থেকে তাদের খাবার দিচ্ছি। রোহিঙ্গা, রোহিঙ্গাদের মানুষ তো খেয়ে ফেলতো। তোরা আসছিস, তোদেরকে আমরা আগে খেয়ে ফেলব।’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্রি বা এর বিজ্ঞানীরা গবেষণা সিদ্ধ তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে কথা বলে, অনুমান বা আবেগের ভিত্তিতে নয়। ব্রি-এর বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরে এই চাল নিয়ে নানাবিধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে নিশ্চিত হয়েছেন যে এটি মানব শরীর, পশুপাখি ও পরিবেশের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। ব্রি ধান২৯ যতটুকু নিরাপদ, গোল্ডেন রাইসও ততটুকুই নিরাপদ। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এই চাল পরীক্ষা করে বলেছে এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। একই কথা বলেছে হেলথ ক্যানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের ফুড স্ট্যান্ডার্ডস এর মতো প্রতিষ্ঠানও। বিশ্বের কোনো গবেষণা বা কোনো জার্নালে জিএম ফসলের পরিবেশ, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য ঝুঁকির বিষয়টি প্রমাণিত হয়নি।’

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশে জেনেটিক্যালি মডিফায়েড অর্গানিজম (জিএমও) প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত ফসল নিয়ে অপপ্রচার চলছে। গোল্ডেন রাইস ও বিটি বেগুন নিয়ে একটি শ্রেণি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই প্রচার চালিয়ে আসছে। এখন পর্যন্ত গোল্ডেন রাইস নিয়ে বিজ্ঞানীরা আপত্তি তুলতে পারেননি। দেশে বহুলাংশেই বিটি বেগুনের সফল চাষ হচ্ছে, উৎপাদনও বেড়েছে বেগুনের।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এগ্রিকালচার বায়োটেকনোলজি কোয়ালিশন এর আহ্বায়ক ও সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুর রহমান, ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ এর সিইও আরিফ হোসাইন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অপর্ণা ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের গবেষণা পরিচালক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইউসুফ আখন্দসহ অন্যরা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন