বিজ্ঞাপন

থাকছে টস, স্লেজিং-টেম্পারিংয়ে কড়া শাস্তি

May 30, 2018 | 2:45 pm

সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

১৮৭৭ সালে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ শুরু হয়েছিল টস দিয়ে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেট থেকে টস প্রথা উঠিয়ে নেওয়ার গুঞ্জন উঠেছিল। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট কমিটির সভায় টেস্টে টস থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনীল কুম্বলের কমিটি টসের বিষয়কে সামনে এনে জানান, টস প্রথা টেস্ট ক্রিকেটের ঐতিহ্য এবং অবিচ্ছেদ্য অংশ।

এছাড়া বল টেম্পারিং, স্লেজিংয়ে মাঠে কাউকে হেনস্থা করা এবং এসব বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আম্পায়ারদের ক্ষমতা আরো বাড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সভায়। এমন পরিস্থিতিতে কড়া শাস্তির পক্ষে রায় দিয়েছে কুম্বলের ক্রিকেট কমিটি। বল টেম্পারিং কিংবা ব্যক্তিগত আক্রমণে নিষেধাজ্ঞাসহ ম্যাচ রেফারিকে শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে সর্বোচ্চ অধিকার দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। রেফারি যাতে শাস্তির মাত্রা বাড়াতে অথবা কমাতে পারেন সেই সুপারিশও করা হয়েছে এই সভায়।

টেস্ট ম্যাচে নিজেদের মাটিতে হোম অ্যাটভান্টেজ নিতে নিজেদের মতোই উইকেট বানিয়ে থাকে স্বাগতিক দেশ। হোম কন্ডিশনের সুবিধা নিতে স্বাগতিকদের এই প্রথা থাকবে কি না সেটা পরিস্কার নয়, তবে এমন সুবিধা নিতে গিয়ে স্বাগতিকরা বাজে উইকেট বানালে প্রতিপক্ষ দলটি বাড়তি পয়েন্ট পাবে। এতে, বাজে উইকেট তৈরি না হলে প্রতিপক্ষ দল অ্যাওয়ে ম্যাচে খেলতে গিয়ে বিপাকে পড়বে কম। মাঠ ও কন্ডিশন এর কারণে মাঝে মধ্যেই টস গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হয়ে ওঠে। অনেক সময় দেখা যায় উইকেটের চরিত্রের কারণে টসের জয়-পরাজয়ই খেলার ভাগ্য অনেকটাই নির্ধারণ করে দেয়। সেটাই বহাল থাকছে টস নামক ভাগ্য পরীক্ষায়।

বিজ্ঞাপন

সভা শেষে আইসিসি তাদের এক বিবৃতিতে জানায়, ‘টস টেস্ট ক্রিকেটের ঐতিহ্য এবং অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটাও খেলার অংশ। টস না, উইকেটের দিকে আমাদের নজর দেওয়া উচিত। যাতে করে ব্যাট ও বলের নিরপেক্ষ ও মহৎ লড়াইটা হয়। আর ম্যাচে অতিরিক্ত খারাপ ভাষা ব্যবহার, কাউকে হেনস্থা করা ও বল টেম্পারিং মারাত্মক অপরাধ। এগুলো দমন করতে হবে। তাছাড়া এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আম্পায়ারদের আরো বেশি অধিকার দেওয়া প্রয়োজন বলে কমিটি মনে করছে।’

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন