বিজ্ঞাপন

সবাইকে জেগে ওঠার আহ্বান ফখরুলের

May 29, 2024 | 9:47 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলনকে জোরদার করতে সবাইকে জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৯ মে) বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনসিটিটিউশন মিলনায়তনে জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই আহ্বান জানান।

গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলনে নেতা-কর্মীদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই যে আত্মত্যাগ, মায়ের যে অশ্রু ধারা এটা কি বিফলে যাবে? আপনারা কি সেটা বিফলে যেতে দেবেন? এখন জেগে ওঠার সময় এসেছে। জেগে উঠবে সেই তরুণ-যুবক। কবি নজরুল ইসলাম তার কবিতায় বলেছেন, কে আছো জোয়ান হও আগুয়ান, হাকিছে ভবিষ্যৎ। আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। সব ভয়-ভীতি তাচ্ছিল্য করে দেশমাতৃকার ডাকে, আমাদের মা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার লক্ষ্যে ও আমাদেরকে নেতা তারেক রহমানের ডাকে আসুন আমরা সবাই বেরিয়ে পড়ি। ভয়াবহ দানব আমাদের সবকিছু তছনছ করে দিচ্ছে। তাদের পরাজিত করে সত্যিকার অর্থে একটা জনগণের রাষ্ট্র, গণতন্ত্রের রাষ্ট্র নির্মাণ চাই।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা লড়াই করছি সবাই। আমাদের বয়স হয়েছে। যে কথা মেজর হাফিজ উদ্দিন বলেছেন, আমাদের বয়স ৭০ এর উপরে। আমরা লড়াই করেছি, দেশকে স্বাধীন করবার জন্য শহিদ জিয়ার ডাকে যুদ্ধ করেছি। বেগম জিয়া ডাক দিয়েছেন আমরা সংগ্রাম করেছি, লড়াই করেছি। তিনি গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সফল হয়েছিলেন নব্বইয়ের ছাত্রদের গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে। আমি একটা কথাই বলতে চাই, আজকের সংকট হলো মহাসংকট। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই যে তথাকথিত বিনাভোটে ইলেক্টেড এমপি, আমি তাকে এমপিও বলতে চাই না, আমরা যে বাজারে মাংস কিনতে যাই, গোস্ত কিনতে যাই টুকরা টুকরা করে দেয় না, সেই টুকরা টুকরা করে কেটে নাকি ফেলে দিয়েছে। কী অবস্থা বোঝেন? আপনি কোন অবস্থায় বাংলাদেশকে নিয়ে এসেছেন যে, সাবেক পুলিশপ্রধানের হাজার হাজার দুর্নীতির চিত্র পত্র-পত্রিকায় বেরিয়ে আসছে। তাকে আপনি লালন করেছেন। অনেক আগে স্যাংশন দেওয়ার পরও তাকে আপনি আইজি বানিয়েছেন। আজ একইভাবে সাবেক সেনাপ্রধানকে স্যাংশন দেওয়া হয়েছে। কারণ, সে বাংলাদেশে লুট করেছে, চুরি করেছে এবং নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই দায় কি শুধু ওদের? এই দায় এই সরকারের, যারা আজ জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে।’

তিনি বলেন, ‘এ জন্য আমি বারবার বলছি, আপনাদের রিজাইন করা উচিত। একমাত্র বেনজীর বা আজিজ কেন তৈরি হয়? দুর্নীতি কি শুধু তারা করেছে? একজন আজিজ শুধু নয়, একজন বেনজীর শুধু নয়। অসংখ্য আজিজ ও বেনজীর আপনারা তৈরি করেছেন, যারা লুট করে খাচ্ছে। তাদের একটাই কাজ লুট করা। আমরা যখন ছোট ছিলাম আমাদের মা কোলে নিয়ে ঘুম পাড়াতে গিয়ে বলতেন, ছেলে ঘুমালো, পাড়া ঘুমালো বর্গী এলো দেশে। বর্গী কারা? বর্গী সেই সমস্ত লুটেরা যারা বর্মা থেকে আসতো। এসে লুট করে সব নিয়ে চলে যেত। আজকে তারা (আওয়ামী লীগ) বর্গীতে পরিণত হয়েছে। তাদের একমাত্র কাজ বাংলাদেশের সম্পদ লুণ্ঠন করে বিদেশে পাচার করে সেখানে সম্পদ গড়ে তোলা।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন দেন না কেন। একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছি। আমরা কখনও বলিনি যে, বিএনপিকে ক্ষমতায় বসিয়ে দাও। আমরা একা নই, ৬৩টা বিরোধীদল, বাম-ডান সবাই একসঙ্গে লড়াইটা লড়ছি। আমাদের অধিকার, ভোটের অধিকারের জন্য লড়ছি। সুষ্ঠু নির্বাচন দিন, জনগণ সিদ্ধান্ত নিক।’

বিজ্ঞাপন

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, অধ্যাপক মামুন আহমেদ প্রমুখ।

সারাবংলা/এজেড/পিটিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন