বিজ্ঞাপন

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা পরীক্ষা চলবে

May 30, 2024 | 3:10 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠায় তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ চেম্বার আদালত স্থগিত করেছেন। তবে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল না করা পর্যন্ত নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা যাবে না বলে আদেশে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ও শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

আদালতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী লিটন আহমেদ। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও জহিরুল ইসলাম।

আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে আইনজীবী জহিরুল ইসলাম বলেন, আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ মোডিফাই করে দিয়েছেন। আদালত বলেছেন- যেহেতু ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ভাইভা চলছে। তাই ভাইভা পরীক্ষা স্থগিতের আদেশ স্থগিত থাকবে। অর্থাৎ চলমান ভাইভা পরীক্ষা চলবে। তবে প্রশ্ন ফাঁস ও অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল না করা পর্যন্ত নিয়োগ পরীক্ষার ফল করতে পারবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ ছাড়া প্রশ্ন ফাঁস ও অনিয়মের অভিযোগের তদন্তও চলবে এবং নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে রুলের জবাব দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠায় তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার কার্যক্রম গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে‌‌।

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৬ জন প্রার্থীর আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এই আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

সেদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও লিটন আহমেদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জহিরুল ইসলাম, খুররম সম্রাট ও পিয়া জান্নাতুল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ, আনিচ উল মাওয়া।

এর আগে গত ২৩ মে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ এনে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৬ পরীক্ষার্থী।

তারও আগে গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের ক্লাস্টারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

এরপর ২২ মার্চ ২য় ধাপে রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ১৭ জুন ৩য় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রথম ধাপে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০, দ্বিতীয় ধাপে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪৩৮ এবং তৃতীয় ধাপে ৩ লাখ ৪০ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলা) লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয় গত ২২ এপ্রিল। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিতদের ভাইভা পরীক্ষা চলমান রয়েছে।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এনইউ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন