বিজ্ঞাপন

মিয়ানমার যুদ্ধে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আঁচ, নিরাপত্তা জোরদারে নির্দেশ

May 31, 2024 | 8:41 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

কক্সবাজার: মিয়ানমারে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী বিভিন্ন গোষ্ঠীর চলমান যুদ্ধের আঁচ এসে পড়ায় কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, মিয়ানমারে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের সংঘাত চলছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সেই অস্থিরতার আঁচ এসে পড়ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রের ঝনঝনানি রয়েছে। বিভিন্ন দলে বিভক্তি রয়েছে, যারা ক্যাম্পে নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত করছে। কিন্তু ক্যাম্পে এসব আর চলবে না। ক্যাম্পে নিয়মিত টহল চলবে। এপিবিএন, পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব একসঙ্গে যৌথ টহল দেবে। সেনাবাহিনীও সবসময় প্রস্তুত থাকবে।

কক্সবাজার হিলটপ সার্কিট হাউজে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা’ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

আজ শুক্রবার (৩১ মে) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের কথা রয়েছে। দিনভর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সন্ধ্যায় ঢাকার পথে রওয়ানা হওয়ার কথা রয়েছে তার।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার রাতের মতবিনিময় সভা শেষে মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে যেসব রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছেন, তাদের নিয়ে করণীয় বিষয়ে এই মতবিনিময় সভা করেছি। সভায় ক্যাম্পের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে বলা হয়েছে। প্রায় দুই শ স্থানে কাঁটাতারের বেড়া কেটে ফেলা হয়েছে। সেসব জায়গা দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মিয়ানমার থেকে আর কাউকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে মতবিনিময় সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বলেন, মিয়ানমারে যুদ্ধ চলছে। তাদের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করছে আরাকান আর্মিসহ কয়েকটি ছোট ছোট দল। এ অবস্থায় সেখানকার কোনো নাগরিক বা অন্য কাউকে আর অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এদিক থেকেও কাউকে যেতে দেওয়া হবে না। এটা নিয়ে কঠোর অবস্থানে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মন্ত্রী বলেন, মূল উদ্দেশ্য হলো ক্যাম্পকে নিরাপদ রাখা। এখানে খুন-খারাবি, রক্তপাত চলবে না। সে কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যৌথভাবে কাজ করতে বলা হয়েছে। ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গারা যেন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়তে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতেই কেটে ফেলা কাঁটাতারের বেড়াগুলো সংস্কার ও দ্রুত মেরামতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মতবিনিময় সভায় জাতীয় সংসদের হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান, এপিবিএন প্রধান সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন, ৮ এপিবিএনের অধিনায়ক মো. আমির জাফর, ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক মো. ইকবাল, ১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক ড. হাসান বারী নূর, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন