বিজ্ঞাপন

পোশাক রফতানিতে প্রণোদনা অব্যাহত রাখার দাবি বিজিএমইএ’র

June 1, 2024 | 6:33 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট 

ঢাকা: পোশাক রফতানিতে প্রণোদনা অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। একইসঙ্গে রফতানির বিপরীতে উৎসে কর আগের মতোই ০.৫০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। শনিবার (১ জুন) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বিজিএমইএ’র নতুন পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে বিজনেস রিপোর্টারদের মতবিনিময় সভায় বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি এসব দাবির কথা জানান।

বিজ্ঞাপন

নতুন কমিটির পরিচালক ছাড়াও এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী এবং সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেন, ‘পোশাক শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখার জন্য আসন্ন বাজেটে সরকারের কাছে আমরা কিছু নীতি সহায়তা চেয়েছি। রফতানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে পূর্বের মতো দশমিক ৫০ শতাংশ করে আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর করতে হবে। প্রণোদনার জন্য প্রদান করা নগদ সহায়তার উপর আয়কর কর্তনের হার ১০ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ৫ শতাংশ করতে হবে। ২০২৯ সাল পর্যন্ত ইনসেনটিভ অব্যাহত রাখতে হবে। পোশাক খাতের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য ও সেবা ভ্যাটমুক্ত রাখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অগ্নি ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম আমদানির উপর কর রেয়াত অব্যাহত রাখতে হবে। এই পণ্যগুলো বিকল বা নষ্ট হলে প্রতিস্থাপনের জন্য রেয়াতি হারে আমদানির সুযোগ দেওয়া যুক্তিযুক্ত। শ্রমিকদের জন্য ফুড রেশনিং বাবদ বিশেষ তহবিল বরাদ্দ রাখতে হবে। নন-কটন পোশাক রফতানি ও বিনিয়োগে সহায়তা প্রদান করতে হবে। ইআরকিউ এর উপর আয়কর ২০ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

পোশাক খাতের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে আমাদের পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৪.৯৭ শতাংশ, যেখানে আগের অর্থবছর অর্থাৎ ২০২২-২৩ এর জুলাই-এপ্রিল সময়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ৯.০৯ শতাংশ। রাশিয়া-ইউক্রেইন ও ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, এর প্রভাবে খুচরা বিক্রয় কমছে।

তিনি আরও বলেন, ‘পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা হিমশিম খাচ্ছে। এমন প্রেক্ষিতে পোশাক খাতের রফতানি অব্যাহত রাখতে আমাদের নানা ধরণের নীতি সহায়তা প্রয়োজন।’

বিজ্ঞাপন

বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘এখন ডলার ক্রাইসিস রয়েছে। প্রতিযোগি দেশ ভারত, পাকিস্তান কম্বোডিয়ায় ডলার রেট কতো, আমরা কতো পাচ্ছি; তা ভাবতে হবে। খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে আমরা প্রত্যেক্যেই স্ট্রাগল করছি।’

বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিদকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘পোশাক খাতে শুধু পজেটিভ নিউজ নয়, আপনারা গঠনমূলক সমালোচনা করবেন। আশেপাশের দেশের সঙ্গে তুলনা করে পোশাক খাতকে এগিয়ে যেতে যে ধরণের সমালোচনা করতে হয়, তাই করবেন।’

বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘রফতানিতে পোশাকের সমান্তরালে দেশের আর কোন সেক্টর নেই। দেশের পণ্য কোথায় কোথায় যাচ্ছে, কোথায় যেতে পারে, তা আমাদের ভাবতে হবে। বাস্তব কম্পিটিশনের মাধ্যমে গ্লোবাল মার্কেটে আমাদের টিকে থাকতে হয়, টিকে থাকতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন