গণমাধ্যম গণতন্ত্রকে সুসংহত করে: স্পিকার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, এমপি বলেছেন, গণমাধ্যম জনগণের কথা বলে। জনসচেতনতা ও জনমত গঠনে সংবাদপত্র কাজ করে থাকে। গণমাধ্যম গণতন্ত্রকে সুসংহত করে।

শনিবার (১ ‍জুন) রাজধানী ঢাকার গুলশান ক্লাবের ক্রিস্টাল প্যালেস হলে নোয়াবের পঁচিশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সংবাদপত্র সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)- এর সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, এমপি।

স্পিকার বলেন, ‘জাতি বিনির্মাণে সংবাদপত্রের অবদান অনস্বীকার্য। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৬৬ এর ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণ অভ্যুত্থান এবং ’৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের পথ পরিক্রমায় সংবাদপত্র গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের সহযোগী ভূমিকা আবশ্যক।’

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সংবাদপত্র জনমত গঠনে ভূমিকা পালন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের সময়ে সংবাদপত্রের পথচলা সহজ করেছেন। প্রচুর সংখ্যক অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে অনুমোদন দিয়ে বর্তমান সরকার মিডিয়াবান্ধব পলিসি গ্রহণ করেছে।’

স্পিকার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সংবাদপত্রের উন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।’

উল্লেখ্য, এ দিন নোয়াব ২০২২ সালে পঁচিশ বছর পেরোনো সদস্য সংবাদপত্রগুলোকে সম্মাননা প্রদান করে। এ বছর ৫০ বছর পেরোনো ক্যাটাগরিতে চারটি সংবাদপত্র যথা: সংবাদ, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক আজাদী, দৈনিক পূর্বাঞ্চল এবং ২৫ বছর পেরোনো ক্যাটাগরিতে মানবজমিন ও দৈনিক প্রথম আলোকে সম্মাননা দেওয়া। এ সময় ডেইলি স্টার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকমন্ডলী, গণমাধ্যমকর্মী, আমন্ত্রিত অতিথি ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম