বিজ্ঞাপন

১৫ লাখ টাকায় কালা মানিক কিনলে ২৫ কেজির কাঞ্চন ফ্রি

June 3, 2024 | 12:27 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

সিরাজগঞ্জ: বিশাল আকৃতির এত বড় গরু প্রথমে দেখলেই চমকে উঠবে যে কেউ। পা থেকে মাথা অবধি গায়ের রং কুচকুচে কালো। আর এ কারণেই গরুর মালিক নাম রেখেছেন ‘কালা মানিক’। ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাঁড়টি লম্বায় ১০ ফুট, উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, যার ওজন ১৩০০ কেজি। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ষাঁড়টির দাম হাঁকানো হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। ‘কালা মানিক’ ষাঁড়টি কিনলে ফ্রিতে মিলবে ‘কাঞ্চন’ নামের একটি খাসি। পাঁচ বছর ধরে ষাঁড়টি লালন-পালন করছেন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার নান্দিনা মধু গ্রামের ড. আলী আজম তালুকদার।

বিজ্ঞাপন

উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের নান্দিনা মধু গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আলী আজহার তালুকদারের ছেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী আজম তালুকদারের খামারে বেড়ে উঠছে ষাঁড়টি।

খামার সূত্রে জানা যায়, শখের বসে নিজ বাড়িতে গরুর খামার করেছেন অধ্যাপক ড. আলী আজম তালুকদার। তার খামারে বর্তমানে মোট নয়টি বিশাল আকৃতির ষাঁড় লালন পালন করা হচ্ছে। কালা মানিক ছাড়াও ৮০০ কেজি ওজনের শাহীওয়াল জাতের আকাইসুর ও ৭০০ কেজি ওজনের আরও সাতটি ষাঁড় রয়েছে। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কালা মানিক, আকাইসুরসহ মোট আটটি ষাঁড় বিক্রির জন্য কোরবানির পশুর হাটে তুলবেন তিনি। বিশালাকৃতির এত ষাঁড় একসঙ্গে দেখার জন্য প্রতিদিন আলী আজমের খামার বাড়িতে লোকজন ভিড় জমাচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

খামারে সার্বক্ষণিক পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত থাকা রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক আদর করে কালা মানিককে লালন-পালন করা হয়েছে। কালা মানিককে আদর করলে খুশি হয়। তাকে ভালোবাসলে সেও ভালোবাসে, আর ভালো না বাসলে লাত্থি-গুতা দেয়। আমি মাঝে মাঝে চুমা খাই। কালা মানিক ছাড়াও সবগুলো ষাঁড়গরু খুবই ভালো। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত আমি এবং আমার পরিবার এই খামার দেখাশোনা করি।’

অধ্যাপক ড. আলী আজম তালুকদার বলেন, ‘শখের বসে ২০১৫ সালে এই খামারটি তৈরি করেছি। এখানে কোনো প্রকার ওষুধ ছাড়াই আমার নিজস্ব গবেষণা প্রক্রিয়ায় দানাদার খাদ্যগুলো পাউডার ফর্মে এনে এর পর ব্যাকটেরিয়া দিয়ে গাঁজানো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৬ থেকে ১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখি। পরে ষাঁড়গুলোকে খেতে দেওয়া হয়। এরসঙ্গে দেওয়া হয় কাঁচা ঘাস ও সাইলেস। আমার চিন্তাধারা সাশ্রয়ী মূল্যে বাংলাদেশের গবাদিপশুকে খাদ্য দেওয়া।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ষাঁড়টিকে বিক্রির জন্য দাম চাওয়া হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। ব্যবসার জন্য খামার করা হয়নি। যদি কেউ কিনতে চান তাহলে অবশ্যই আলোচনার মাধ্যমে দাম কমানো যাবে। গরুটি কিনলে ফ্রিতে মিলবে ২২ থেকে ২৫ কেজি ওজনের একটি খাসি।’

বিজ্ঞাপন

কামারখন্দ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. ফরহাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড় কালা মানিক। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে গরুর মালিক ষাঁড়টি বড় করেছে। আশা করছি, কোরবানির পশুর হাটে ষাঁড়ের মালিক ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন।’

সারাবাংলা/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন