বিজ্ঞাপন

বাজেটের লক্ষ্যও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ

June 6, 2024 | 4:51 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছিল আওয়ামী লীগ। সেই ভোটে জয়ের পর সরকারের দেওয়া প্রথম বাজেট প্রণয়নেও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়াকেই অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। এরপর স্পিকারের অনুমতি নিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের সারসংক্ষেপ পাঠ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

‘স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ দর্শনকে কেন্দ্র করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সে নির্বাচনে জয়লাভের পর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটই এই সরকারের প্রথম বাজেট। এর শিরোনামও রাখা হয়েছে ‘টেকসই উন্নয়নের পরিক্রমায় স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা’।

আরও পড়ুন-

বিজ্ঞাপন

অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় দ্বিতীয় অধ্যায়ের শিরোনাম রেখেছেন ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার’। বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকারের দর্শনকে কেন্দ্র করে ২০২৪ সালে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে। আমাদের সরকারের আগের মেয়াদগুলোতে ডিজিটাল বাংলাদেশের যে শক্ত ভিত রচিত হয়েছে, তার ওপর নির্ভর করে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য স্মার্ট, সমৃদ্ধ একটি দেশ গড়া এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ ২৯তম সাধারণ পরিষদে বলেছিলেন, ‘আমরা এমন একটি বিশ্বের দিকে তাকিয়ে আছি, মানবতা যেখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিস্ময়কর অগ্রগতির যুগে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম। পৃথিবীর সব সম্পদ ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে এমন কল্যাণের দ্বার উন্মোচিত হবে যেখানে প্রতিটি মানুষের সুখী ও সম্মানজনক জীবনের ন্যূনতম নিশ্চয়তা থাকবে।’

বিজ্ঞাপন

জাতির পিতার এ বক্তব্যের উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেন, জাতির পিতার এ দর্শন হৃদয়ে ধারণ করে স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা এখন থেকেই সুচিন্তিত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে হাত দিয়েছি।

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা প্রস্তাবিত এই বাজেটের আকার সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির গড় হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশে সীমিত রাখার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।

আরও পড়ুন-

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন