বিজ্ঞাপন

আদালতে আসামির জন্য খাঁচা স্থাপনের বিধান প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

June 6, 2024 | 10:55 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: অধস্তন আদালতে আসামির জন্য লোহার খাঁচা স্থাপনের বিধান সংবিধানের সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

বিজ্ঞাপন

চার সপ্তাহের মধ্যে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে করা এক রিটের সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, আগে দায়ের করা ওই রিটের সঙ্গে গত মাসে সম্পূরক আবেদনটি করা হয়। আদালতে খাঁচা স্থাপনসংক্রান্ত বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সম্পূরক আবেদনটি করা হয়।

আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘আদালতে খাঁচা স্থাপনের বিধান সংবলিত ক্রিমিনাল রুলস অ্যান্ড অর্ডারস-এর ৮২ বিধি অনুযায়ী প্রতিটি আদালতে অভিযুক্তের জন্য উপযুক্ত খাঁচা থাকবে। খাঁচাটি এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে কোনো আসামি সহজে পালাতে না পারে এবং খাঁচা থেকে আসামি যাতে পালাতে না পারে, সে জন্য সেখানে পর্যাপ্ত পুলিশ পাহারায় থাকবে।’

তবে আমাদের সংবিধানের ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদ বলা হয়েছে যে, কোনো ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেওয়া যাবে না কিংবা নিষ্ঠুর, অমানসিক বা লাঞ্ছনাকর দণ্ড দেওয়া যাবে না কিংবা কারও সঙ্গে অনুরূপ ব্যবহার করা যাবে না।

বিজ্ঞাপন

অধস্তন আদালতের অনুশীলন এবং কার্যপ্রণালি-সংক্রান্ত ৮২ বিধির ভাষ্য, প্রতিটি আদালতে অভিযুক্তের জন্য উপযুক্ত খাঁচা থাকবে। খাঁচাটি এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে কোনো আসামি সহজে পালাতে না পারে এবং খাঁচা থেকে আসামি যাতে পালাতে না পারে, সে জন্য সেখানে পর্যাপ্ত পুলিশ পাহারায় থাকবে। বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রক্ষণবিষয়ক সংবিধানের ৩৫(৫) অনুচ্ছেদ বলছে, কোনো ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেওয়া যাবে না কিংবা নিষ্ঠুর, অমানসিক বা লাঞ্ছনাকর দণ্ড দেওয়া যাবে না কিংবা কারও সঙ্গে অনুরূপ ব্যবহার করা যাবে না।

আইনজীবী শিশির মনির আরও বলেন, রুলে ৮২ বিধি কেন সংবিধানের ৩৫(৫) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

চার সপ্তাহের মধ্যে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি অধস্তন আদালত কক্ষে স্থাপন করা লোহার খাঁচার অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করা হয়।

তারও আগে গত বছরের ১৬ অক্টোবর এই ১০ আইনজীবীর পক্ষে নোটিশ পাঠান আইনজীবী শিশির মনির। নোটিশের জবাব না পেয়ে এই রিট দায়ের করা হয়।

রিট আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী হলেন, জি এম মুজাহিদুর রহমান, মোহাম্মদ নোয়াব আলী, সাদ্দাম হোসেন, আব্দুল্লাহ সাদিক, মিজানুল হক, মুজাহিদুল ইসলাম, মেসবাহ উদ্দিন, মো. জোবায়দুল ইসলাম, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী, সাজ্জাদ সারোয়ার।

ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।

পাশাপাশি দেশের কোন কোন আদালতের ভেতরে (অধস্তন আদালতের এজলাসকক্ষ) লোহার খাঁচা রয়েছে, সে বিষয়ে ৬০ দিনের মধ্যে আইন সচিবকে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

সারাবাংলা/কেআইএফ/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন