বিজ্ঞাপন

‘ক্যানসারের অ্যানসার আছে, দেশেই সম্ভব চিকিৎসা’

June 9, 2024 | 9:51 am

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট

ক্যানসারের অ্যানসার আছে। আছে চিকিৎসা। জনসাধারণের মধ্যে ক্যানসার সচেতনতা তৈরি করতে গণমাধ্যমে বেশি বেশি প্রচার দরকার। আন্তরিকতা থাকলে ক্যানসারে চিকিৎসা দেশেই করা সম্ভব।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৯ জুন) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা এ সময় ক্যানসার সারভাইভারদের জন্য তহবিল গঠনের আহ্বান জানান।

‘ক্যানসার সারভাইবার দিবস’ উপলক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ক্যানসার কেয়ার ফাউন্ডেশন (সিসিসিএফ)। অনুষ্ঠানে সিসিএফের পক্ষ থেকে পাঁচ ক্যানসার সারভাইভারকে সম্মাননা দেওয়া হয়। তারা হলেন— মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, লেখক ও চিকিৎসাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, চলচ্চিত্র নির্মাতা মসিহউদ্দিন শাকের, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. এস এম শহীদুল্লাহ, অণুজীববিজ্ঞানী ড. সেঁজুতি সাহা।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি
মাহফুজা খানম বলেন, ‘এক সময় বলা হতো, ক্যানসার হ্যাজ নো অ্যানসার। কিন্তু আজ আমরা দেখছি, ক্যানসারেরও অ্যানসার রয়েছে। ক্যানসারের কথা শুনলে মৃত্যুর আগেই মানসিকভাবে অনেকের মৃত্যু হয়ে যায়। ক্যানসার আর্লি ডিটেকশন করতে পারলে এটা প্রতিরোধ সম্ভব।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী বলেন, ক্যানসার নির্ণয়ের ব্যবস্থা আমাদের দেশে দুর্বল। তবে দেশে চিকিৎসা সম্ভব, যদি আন্তরিকতা থাকে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ ক্যানসার সম্পর্কে কম জানে। তাদের জানাতে হবে। ক্যানসার আগেভাগে চিহ্নিত করা গেলে অনেকটা প্রতিরোধ সম্ভব। আগেভাগে জানতে পারলে চিকিৎসাও সাশ্রয়ী হবে।

ডা. শুভাগত আরও বলেন, আমাকে বলা হয়েছিল চার বছর বাঁচব। এখন ছয় বছর ধরে বেঁচে আছি। ক্যানসার মারণ রোগ, এটা ঠিক নয়। ক্যানসারকে সিনেমা-নাটকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, সেটা ঠিক না। ক্যানসার নিয়ে বাঁচা যায় এবং ক্যানসার জয় করে বলা যায়, ভয়ের কোনো কারণ নেই।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ক্যানসার লড়াকু ডা. সারওয়ার আলী জাতীয় ক্যানসার তহবিল গঠনের আহ্বান জানান। বলেন, ক্যানসার প্রতিরোধে জাতীয় নীতিমালা ও পরিকল্পনা থাকা দরকার। সারডাইভারদের পুনর্বাসন ব্যবস্থা করতে ক্যানসার তহবিল গঠন দরকার।

বিজ্ঞাপন

অণুজীববিজ্ঞানী ড. সেঁজুতি সাহা বলেন, ক্যানসার হলেই কিছু থেমে যায় না। ক্যানসার নিয়েও সমাজে অনেক ভূমিকা রাখা যায়। আমি সেই ভূমিকা রাখতে বিদেশ থেকে দেশে চলে এসেছি। আমি আশা করি, আপনারা পাশে থাকলে ক্যানসার প্রতিরোধে আমরা বড় পরিবর্তন আনতে পারব।

অনুষ্ঠানে সিসিসিএফের উদ্যোগে ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড ( ইউপিএল) থেকে প্রকাশিত ‘এখানে থেমো না: ক্যানসার লড়াকু ও পরিচর্যাকারীদের বয়ান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বইটিতে ২৮ জন ক্যানসার সারভাইভার ও ক্যান্সারে আক্রান্তদের পরিচর্যাকারী ৩৫ জনের গল্প তুলে ধরা হয়েছে।

এর আগে ৪২ জন ক্যানসার লড়াকুর অভিজ্ঞতা নিয়ে ‘এখানে থেমো না: ক্যানসার লড়াকুদের বয়ান’ বই প্রকাশ করেছিল সেন্টার ফর ক্যানসার কেয়ার ফাউন্ডেশন (সিসিসিএফ)।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরআইআর/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন