বিজ্ঞাপন

কর অব্যাহতি বহাল: আইসিটির ৫ সংগঠনের কৃতজ্ঞতা

June 9, 2024 | 5:47 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আরও তিন বছর কর অব্যাহতি বহাল রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে আইসিটি খাতের পাঁচ বাণিজ্যিক সংগঠন। কর অব্যাহতির মেয়াদ পাঁচ বছর করা হলে ‘ভালো হতো’ বলেও মন্তব্য তাদের।

বিজ্ঞাপন

বাদ পড়া ওয়েব হোস্টিং ও ক্লাউড সার্ভিস, আইটি প্রোসেস আউটসোর্সিং, মেডিক্যাল ট্রান্সক্রিপশন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন এবং এনটিটিএন’কে কর অব্যাহতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনগুলো।

রোববার (৯ জুন) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বেসিস কার্যালয়ে প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ওপর প্রতিক্রিয়া জানাতে পাঁচ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশেন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) যৌথভাবে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, আইএসপিএবি সভাপতি মো. ইমদাদুল হক এবং ই-ক্যাব-এর সহ-সভাপতি সৈয়দা আম্বারীন রেজা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, ‘আইসিটি খাতে আরও তিন বছর কর অব্যাহতি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা, এনবিআর চেয়ারম্যান ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। স্মার্ট বাংলাদেশের নিউক্লিয়াস হিসাবে কাজ করবে আইসিটি সেক্টর। প্রত্যেক সেক্টরকেই স্মার্ট হতে হবে। স্মার্ট হওয়ার পথে কাজ করবে আইসিটি সেক্টর। একদিক থেকে কর অব্যাহতির বিষয়টিকে সাধুবাদ জানাই। তবে তিন বছরের পরিবর্তে কর অব্যাহতি ৫ বছর হলে ভালো হয়। আশা করি সংসদে তা আলোচনার মাধ্যমে পাঁচ বছর করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘ক্যাশলেস শর্তকে আমরা স্বাগত জানাই। ২০৩১ সাল থেকে সব সেক্টরকে ক্যাশলেস হতে হবে। আইসিটি খাত দিয়ে শুরু হয়েছে। তবে কর অব্যাহতি পেতে ৩৬ লাখ টাকার একটি শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। আমরা এটির ব্যাখ্যা চাইব। আমরা কোনো শর্ত যুক্ত না করে কর অব্যাহতি চাই।’

আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, ‘বাজেট সামনে রেখে আমাদের অনেক প্রত্যাশা থাকে। কিন্তু বাজেটে আইএসপিএবি খাতের প্রত্যাশার প্রতিফলিত ঘটে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকার পরও আইএসপিএবি’কে আইটিএস সেবায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আমাদের খাতে ভ্যাট পাঁচ শতাংশ ও এআইটি ১০ শতাংশ। এখন আর ১০ শতাংশ লাভ করা যায় না।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘ব্রডব্যান্ড সংযোগ বাড়ছে না। ব্রডব্যান্ড সেবায় বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। দেশের টাকা দেশেই থাকে। বৈদেশিক মুদ্রা সেইভ করতে হবে ওয়েব হোস্টিং ও ক্লাউড সার্ভিসকে কর অব্যাহতি দিতে হবে, এটাকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আইএসপিএবি সেক্টরকে আইটিএস সেবায় অন্তর্ভুক্ত করতে আবারও দাবি জানাচ্ছি।’

বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, ‘আইসিটি খাতের যতগুলো উপখাতে কর অব্যাহতি ছিল সবগুলোতে যেন ফের কর অব্যাহতি দেওয়া হয়। কর অব্যাহতি যেন দীর্ঘ সময়ের জন্য দেওয়া হয়। যেগুলো বাদ দেওয়া সেগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এআই, ব্লকচেইন ও রোবটিক্সকে এড করা হয়েছে এটি খুবই ভালো উদ্যোগ।’

তিনি বলেন, ‘বাজেটে ক্লাউড সার্ভিস, আইটি প্রোসেস আউটসোর্সিং, মেডিক্যাল ট্রান্সক্রিপশন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন এবং এনটিটিএন সেবার মতো খাতগুলো থেকে কর অব্যাহতির বিষয়টি তুলে নেওয়ায় হয়েছে। ফলে একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে। অন্যদিকে, মোবাইলের সিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবায় সম্পূরক শুল্ক পাঁচ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করায় মোবাইল ইন্টারনেট সেবার ব্যয় বাড়বে। মোবাইল ইন্টারনেট এবং প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেটের সম্প্রসারণ ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জন সম্ভব নয়।’

ই-ক্যাব সহ-সভাপতি সৈয়দা আম্বারীন রেজা বলেন, ‘ডিজিটাল পেমেন্টকে উৎসাহিত করতে এই সেক্টরে পেমেন্ট চার্জ সমমানের ন্যূনতম দুই শতাংশ ক্যাশ ইন্সেটিভ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। যেহেতু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পেমেন্ট চার্জ কেটে রেখে অবশিষ্ট টাকা ই-কমার্স ও আইটি প্ল্যাটফর্ম কে ফেরত দেয়, তাই উৎসে কর কাটার কোনো সুযোগ নেই।’ এমন পরিস্থিতিতে পেমেন্ট গেটওয়ে চার্জকে উৎসে কর কর্তন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করার আহ্বান জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন