বিজ্ঞাপন

‘দেশকে পরনির্ভরশীল করে ফেলেছে সরকার’

June 9, 2024 | 6:46 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ক্ষমতায় থাকতে সরকার দেশকে পরনির্ভরশীল করে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

রোববার (০৯ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।

জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-(ইউট্যাব) এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেখুন, কীভাবে নিজের স্বার্থে, ক্ষমতায় থাকার স্বার্থে দেশকে বিক্রি করে দিচ্ছে, পরনির্ভরশীল করে ফেলেছে। তাদের (সরকার) কথা-বার্তায় সব আসছে। তারা অর্থনীতিকে ধবংস করে দিয়েছে কার স্বার্থে? অর্থনীতিকে ধবংস করে দিয়েছে সম্পূর্ণভাবে বিদেশিদের স্বার্থে। তারা আমাদেরকে পরনির্ভরশীল একটা জাতিতে পরিণত করেছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) খুব বড় বড় কথা বলে। বিএনপির সময় বাজেটের পরিমাণ ছিল এত, এখন হয়েছে এত। আরে, বিএনপি দেশটাকে ভালোবাসতো, দেশটাকে ভালোবাসতো বলে তারা জনগণের ওপরে করের বোঝা, ঋণের বোঝা চাপায়নি। কিন্তু, আজ ঋণের বোঝা জনগণের ওপর চাপানো হয়েছে। প্রতিটি ব্যক্তির ওপরে এক লাখ ৫৫ হাজার টাকা ঋণ। চিন্তা করতে পারেন। মাথাপিছু ঋণ এটা।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি কমানোর কোনো ব্যবস্থা বাজেটে নেই। যে সমস্ত জিনিসপত্র-ম্যাসিনারিজ আমদানি করলে উৎপাদন বাড়তে পারে, সেগুলোর ওপর ট্যাক্স আরোপ করেছে। তাহলে কর্মসংস্থান হবে কীভাবে?’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কেমিস্ট্রে হচ্ছে চুরি, দুর্নীতি, সন্ত্রাস। এখন তো দেখছেন চুরি, দুর্নীতি কীভাবে হচ্ছে। এত চুরি যে, ওই সময়ে তাদের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান বলছেন যে, অন্যরা পায় সোনার খনি আর আমি পাই চোরের খনি। এটা তার আক্ষেপের কথা। এরা সমস্ত প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশটাকে ওরা জাহান্নামে নিয়ে গেছে। এর চেয়ে খারাপ কিছু হতে পারে? সমস্ত সুন্দর তারা ধবংস করে দিয়েছে। মানুষের মধ্যে যে একটা সৌহার্দ ছিল, ভ্রাতৃত্ব ছিল সেগুলো তারা ধবংস করে দিয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের দলীয়করণের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। নেতৃত্ব নির্বাচনের ব্যবস্থাকে বন্ধ করে রেখেছে। কারা আসছে আজকে আমাদের নেতৃত্বে? দেখেন আপনি। তাদের কোয়ালিটি দেখেন। কী অবস্থা। আমাদের সব জায়গায় নেতৃত্বের সংকট। কেন? পরিকল্পিতভাবে সমস্ত জায়গায় যেন নেতৃত্ব সৃষ্টি না হয় সেই ব্যবস্থা তারা করেছে।’

তিনি বলেন, ‘নেতৃত্ব তৈরি হবে কীভাবে? ছাত্র সংসদের নির্বাচন নাই, ডাকসুর নির্বাচন নাই, কোথাও নির্বাচন নাই। নির্বাচনে সেখানে তারা (সরকার) করে সেখানে জবরদস্তি করে জিততে পারে।’

ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, এশিয়াটিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান খান, ইউট্যাবের অধ্যাপক লুৎফুর রহমান, অধ্যাপক আবদুর রশীদ, অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম, অধ্যাপক আখতার হোসেন, অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক আলীমুর রহমান, অধ্যাপক আমজাদ হোসেন প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন