বিজ্ঞাপন

৭২ জনের মন্ত্রিসভা মোদির, শরিকদের ৫ মন্ত্রণালয়

June 10, 2024 | 9:56 am

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি। এবার নিজের দল নিয়ে এককভাবে না পারলেও শরিকদের নিয়ে গড়েছেন জোট সরকার। মোদির নেতৃত্বাধীন তৃতীয় এই সরকারের মন্ত্রিসভায় রাখা হয়েছে ৭২ জনকে। এর মধ্যে পাঁচটি মন্ত্রণালয় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে শরিক দলগুলোকে।

বিজ্ঞাপন

এনডিটিভি ও আনন্দবাজারসহ ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবর বলছে, রোববার (৯ জুন) নয়া দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে নরেন্দ্র মোদিসহ তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান হয়। মন্ত্রিসভায় নরেন্দ্র মোদিকে বাদ দিয়ে পূর্ণমন্ত্রী রয়েছেন ৩০ জন, প্রতিমন্ত্রী ৩৬ জন। বাকি পাঁচজন রয়েছেন স্বতন্ত্র দায়িত্বে। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকছেন, তা পরে ঘোষণা করা হবে।

দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনের বারান্দায় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়জিত হয়। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু প্রথমে মোদিকে শপথ পড়ান। এরপর শপথ পড়ান রাজনাথ সিং ও অমিত শাহকে। চতুর্থ নেতা হিসেবে শপথ নেন নিতিন গড়করি। এরপর একে একে শপথ নিয়েছেন জেপি নাড্ডা, শিবরাজ সিং চৌহান, নির্মলা সীতারমন, এস জয়শঙ্কর ও মনোহর লাল খাত্তার।

দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে মোদির শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: অনলাইন

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু, নেপালের প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড, মরিশাস ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টসহ সাত বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান। বলিউড তারকাসহ শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি ও গৌতম আদানিও উপস্থিত ছিলেন। সব মিলিয়ে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিল সহস্রাধিক।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রিসভায় উল্লেখযোগ্য কারা

বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডাকে এবার মন্ত্রিসভায় নিয়েছেন মোদি। এর ফলে বিজেপির ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতির কারণে এবার বিজেপি সভাপতির পদটি শূন্য হবে।

লোকসভা ভোটের আগে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়েছিলেন মোনহরলাল খাট্টার। তাকে মন্ত্রী করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকেও কেন্দ্রে মন্ত্রী করা হয়েছে। মন্ত্রী করা হয়েছে পীযূষ গোয়েলকে। গত মন্ত্রিসভায় থাকা ধর্মেন্দ্র প্রধান, সর্বানন্দ সোনোয়াল, বীরেন্দ্র কুমার, জুয়েল ওঁরাও, গিরিরাজ সিং, অশ্বিনী বৈষ্ণব, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, ভূপেন্দ্র যাদব, গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, অন্নপূর্ণা দেবী, কিরণ রিজিজু, হরদীপ সিং পুরী, মনসুখ মান্ডভিয়া, জি কিষণ রেড্ডিও পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছেন। মন্ত্রী হয়েছেন গুজরাটের নেতা সি আর পাটিল। তিনি দলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কেন্দ্র বারাণসীর দায়িত্বেও ছিলেন।

এ ছাড়া রাও ইন্দ্রজিৎ সিং, জিতেন্দ্র সিং, অর্জুনরাম মেঘওয়াল, প্রতাপরাও গনপতরাও যাদব এবং আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধুরীকে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে। জিতে আসার পরও এবার মন্ত্রী করা হয়নি অনুরাগ ঠাকুরকে। গত মন্ত্রিসভায় অনুরাগ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

শরিক দলের পূর্ণ মন্ত্রীরা

শরিক দলের নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে আগে শপথ নেন জেডিএস নেতা কুমারস্বামী। বিহারের শরিক দল হাম নেতা ও বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁঝি পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছেন। জেডিইউ নেতা রাজীব রঞ্জন সিং বা লালন সিং-কেও পূর্ণ মন্ত্রী করা হয়েছে। তেলুগু দেশম পার্টির নেতা ৩৪ বছর বয়সী রামমোহন নাইডু পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছেন। চিরাগ পাসোয়ানও পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছেন।

২০১৪ ও ২০১৯ সালের তুলনায় এই প্রথম এত জন শরিক নেতাকে পূর্ণমন্ত্রী করা হলো বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকারে। বিজেপি এবার লোকসভা নির্বাচনে পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার কারণেই সরকার গঠন করতে শরিক দলের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। সে কারণেই পূর্ণ মন্ত্রীও শরিক দল থেকে বেশি করতে হয়েছে। তবে চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতিশ কুমার তাদের দলের জন্য একাধিক পূর্ণ মন্ত্রী পদ দাবি করলেও তা মানা হয়নি।

৭৩ বছর বয়সী মোদি এ নিয়ে তৃতীয়বার জোট সরকারের নেতৃত্বে থাকবেন। ২০১৪ সালে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালয়েন্স (এনডিএ) জোট গঠন করে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স (ইউপিএ) জোটের ১০ বছরের শাসনের অবসান ঘটান মোদি। এরপর ২০১৯ সালের নির্বাচনেও তার নেতৃত্বাধীন জোটই জয় পায়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন