বিজ্ঞাপন

ত্রুটি থাকায় পরীবাগের বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে আগুন: ফায়ার সার্ভিস

May 30, 2018 | 10:27 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : পরীবাগের বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে ত্রুটি থাকায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা অঞ্চলের উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন বলেন, ‘ওই উপকেন্দ্রটি অনেক পুরনো। অতিরিক্ত তাপের কারণে তাতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আগুন লাগতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘সেখানে ত্রুটি পাওয়া গেছে। ওই উপকেন্দ্রে আগুন নেভানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকার কথা। কিন্তু আমরা তা পাইনি।’

বিজ্ঞাপন

আগুন লাগার ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে জানান দেবাশীষ বর্ধন।

বুধবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে ওই উপকেন্দ্রে আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

দেবাশীষ বর্ধন জানান, ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ৩৫ হাজার লিটার পানি খরচ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

বিজ্ঞাপন

আগুনে গ্রিড ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই গ্রিড ট্রান্সফরমার থেকে আশেপাশের শপিং মার্কেট ও বাসা-বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। গ্রিড ট্রান্সফরমারে আগুন লাগার পর হাতিরপুল, কাঁটাবন, বাংলামোটর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালসহ আশেপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

পাশাপাশি শাহবাগ, কাঁটাবন, হাতিরপুল রোডে যানজট সৃষ্টি হয়।

বিএসএমএমইউ পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুন সারাবাংলাকে বলেন, ৮টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে বিদ্যুৎ চলে গেছে। আমরা নিজস্ব জেনারেটরে চলছি। জেনারেটরে সক্ষমতা সীমিত। আমাদের আইসিইউ-সিসিইউ, অপারেশন থিয়েটার, পোস্ট অপারেটিভ রুম এ সব জায়গায় জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ দরকার হয়। রোগীদের কথা চিন্তা করে যেন তাড়াতাড়ি বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয় সেটিই আমাদের চাওয়া।’

বিজ্ঞাপন

আগুনের ভয়াবহতা বিষয়ে কাঁটাবনের বাসিন্দা জিনাত শারমিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে আগুনের শিখা দেখছি। এর আগে এত ভয়াবহ আগুন দেখিনি।’

একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ইফতারের পর নামাজ পড়ছিলাম। নামাজ শেষ করেই বিকট একটি শব্দ শুনতে পাই। এরপর দেখি দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।

আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ঢাকা পাওয়ার ড্রিস্টিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) পরিচালক (অপারেশন) হারুন উর রশিদসহ অন্য কর্মকর্তারা।

তিনি বলেন, ‘কীভাবে আগুন লেগেছে, আগুনে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়ে তা তদন্ত শেষে বলা যাবে। আমাদের প্রকৌশলীরাও ঘটনাস্থলে আছেন, তারা বিষয়টি দেখছেন।’

ডিপিডিসির পরিচালক (প্রশাসন) এ টি এম জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা আগুন লাগার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করব। আসলে কী ঘটেছে তা তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসবে।’

সারাবাংলা/এসও/ইউজে/এইচএ/জেএ/একে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন