সালিশে ধর্ষণের ‘মীমাংসা’র চেষ্টা, ভেস্তে দিলো পুলিশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

যশোর: যশোরের ঝিকরগাছার শংকরপুর ইউনিয়নের ১৪ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গ্রাম্য সালিশে ৩০ হাজার টাকা জরিমানায় ঘটনাটি ‘মীমাংসা’ করার চেষ্টা চলছি। তবে বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালালে স্কুলছাত্রীর মা বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেছেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।

রোববার (৯ জুন) রাতে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ গ্রেফতার করে ধর্ষণে অভিযুক্ত মিজানুর রহমানকে (৪০)। তিনি ঝিকরগাছা উপজেলার কুমড়ী গ্রামের আব্দুল গাফফারের ছেলে। সোমবার (১০ জুন) দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

ঝিকরগাছা থানার মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন প্রতিবেশী মিজানুর রহমান মিজান। সম্পর্কে দাদা হওয়ায় মেয়ের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। গত ৬ জুন ঘর ঝাড়ু দেওয়ার কথা বলে কৌশলে ভুক্তভোগী ওই শিশুকে বাড়িতে ডেকে নেনে মিজান। পরে ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন এবং কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখান।

তবে মেয়েটি বাড়ি ফিরে ঘটনাটি সবাইকে জানায়। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে রোববার (৯ জুন) রাতে স্থানীয়রা এটা নিয়ে সালিশ বসান। পরে অভিযুক্ত মিজান তার দোষ স্বীকার করলে তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু ভুক্তভোগী পরিবার সেই বিচার না মেনে থানায় অভিযোগ করেছে।

ঝিকরগাছা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন— সালিশ হচ্ছে— এমন খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। পরে ভুক্তভোগী ওই শিশুর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আসামি মিজানকে আটক করা হয়। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই শিশুর জবানবন্দি গ্রহণ ও ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সারাবাংলা/টিআর