বিজ্ঞাপন

২০১৮ সাল নির্বাচনের বছর: দিলীপ কুমার সরকার

May 30, 2018 | 10:50 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ২০১৮ সাল নির্বাচনের বছর এবং ধারণা করা হচ্ছে, এ বছরেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ‘সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন: নাগরিক সমাজের ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বলা হয়।

পিস প্রেসার গ্রুপ ও সুশাসনের জন্য নাগরিক, মহানগর কমিটি, ঢাকার উদ্যোগে গোল টেবিল বৈঠকটি বুধবার (৩০ মে) বিকেলে আমলিগোলা পার্ক লালবাগের আজাদ-মুসলিম পাবলিক লাইব্রেরিতে অনুষ্ঠিত হয়।

গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্টের প্রোগাম ম্যানেজার দিলীপ কুমার সরকার। এ ছাড়া সুশীল সমাজের স্থানীয় প্রতিনিধি মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোহাম্মদের সভাপতিত্বে রহমতউল্লাহ মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার হাওলাদার, স্থানীয় শিশু সেবক শেখ আনিস হোসেন, শিক্ষক মো. জাহিদুর রহমান, রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তি জিএম রুস্তম খানসহ অনেকেই নিজেদের মতামত প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞাপন

মূল প্রবন্ধ পাঠে দি হাঙ্গার প্রজেক্টের প্রোগাম ম্যানেজার দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘২০১৮ সাল নির্বাচনের বছর। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছরেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কেননা, সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ মেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

হাঙ্গার প্রজেক্টের প্রোগাম ম্যানেজার দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘শুধুমাত্র একাদশ জাতীয় নির্বাচনই নয়, এ বছরই খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনসহ শতাধিক ইউনিয়ন পরিষদ ও বেশকিছু পৌরসভা নির্বাচন ও উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ২৬ জুন ২০১৮, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। অক্টোবরের মধ্যেই রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলে যে কোনো সময় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদের উপনির্বাচনসহ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৮টি করে মোট ৩৬টি নতুন ওয়ার্ডের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার কারণে আরও কিছু পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে এই সময়কালে। সঙ্গত কারণেই ২০১৮ সালকে আমরা নির্বাচনের বছর বলতেই পারি।’

প্রোগাম ম্যানেজার দিলীপ কুমার সরকার আরো বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আমাদের চাওয়া একটি গণতান্ত্রিক সমাজ। আমাদের চাওয়া সর্বস্তরের সুশাসন। আর এই প্রত্যাশা পূরণের পূর্বশর্ত হিসেবে আমাদের চাওয়া একটি অংশগ্রহণমূলক অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ তথা সুষ্ঠু নির্বাচন। আর তা শুধু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনই না, সকল নির্বাচন। প্রসঙ্গক্রমে বলা প্রয়োজন যে, যে কোনো এলাকায় নির্বাচনী সহিংসতারোধসহ সুষ্ঠ নির্বাচন নিশ্চিতকরণে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিকদলসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাদের ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

গোল টেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, আমাদের আরো সচেতন হতে হবে। তা না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। সবাই দল দেখে ভোট দেয় কিন্তু দল নয় ব্যক্তি দেখে ভোট দেয়া প্রয়োজন। ভালো ব্যক্তিকে ভোট দেয়া দরকার। এই বিষয়গুলো সবাইকে বলা উচিত এবং এই বিষয়ে সচেনতা বাড়ানো প্রয়োজন।

সারাবাংলা/জেআইএল/একে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন