বিজ্ঞাপন

বৃদ্ধার মাইক কেড়ে নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী বললেন— ‘হোয়াট ইজ দিস?’

June 11, 2024 | 6:12 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

লালমনিরহাট থেকে: ছিন্নমূল, ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের মাঝে দলিলসহ জমি-ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার (১১ জুন) গণভবন থেকে সরাসরি অনলাইন কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

এ সময় লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের মহিষামুড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী এক বৃদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন। কিছু সময় পর ওই বৃদ্ধার কথা শেষ হওয়ার আগেই মাইক কেড়ে নেন স্থানীয় কালীগঞ্জ থানার ইউএনও জহির ইমাম।

তখনই গণভবন থেকে সরাসরি যুক্ত থাকা প্রধানমন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করেন এবং বৃদ্ধার হাতে মাইক্রোফোন দেওয়ার নির্দেশও দেন। এদিন বেলা ১২টার দিকে সারাদেশের ১৮ হাজার ৫৬৬টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমি ও ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এমন ঘটনা ঘটে।

অনুষ্ঠানস্থলে দেখা যায়, মহিষামুড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পে বিধবা বৃদ্ধা শাহেরুন মাইক্রোফোন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে এলাকায় আসার দাওয়াত দেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘আপনি আমাদের মা। আপনি যে টাকা দেন তা দিয়ে চলে না। আমার বাবার বাড়িতেও কিছু নেই, স্বামীরও কিছু নেই। ওষুধ কিনতে পারি না। যে টাকা পাই তা টাকা দিয়ে ওষুধ কিনব, নাকি ভাত খাব।‘ ওই বৃদ্ধা আরও বলেন, ‘মা, দয়া করে ভাতার টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে দেন।’

পরে প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় ইউএনকে ওই বৃদ্ধার ওষুধের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। তখন ওই বৃদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর জন্য মোনাজাত শুরু করেন। কিন্তু মোনাজাতের সময় মাইক্রোফোনটি কেড়ে নেন কালীগঞ্জ থানার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহির ইমাম।

এ ঘটনায় হচকিত প্রধানমন্ত্রী বলে ওঠেন ‘এটা কী, একজন মানুষ মোনাজাত করছেন, আর হাত থেকে সেটা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। হোয়াট ইজ দিস। এটা কী?’ তিনি ফের বলেন, ‘এই এই এটা কী করো, এটা কেমন কথা হলো। মোনাজাত করছে আর তার হাতে থেকে মাইক্রোফোনটি কেড়ে নিল। হোয়াট ইজ দিস?’

বিজ্ঞাপন

এরপর ওই বৃদ্ধার কাছে মাইক্রোফোনটি আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তখন তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে আবারো এই এলাকায় ঘুরে যাওয়ার দাওয়াত দিয়ে কথা শেষ করেন।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেন, ‘আজ আমরা আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে ১৮ হাজার ২৬৬টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করছি। যারা ঘর পাচ্ছে তাদের আমি অভিনন্দন জানাই। সেইসঙ্গে আমি আরেকটি কথা বলব, সেটা হচ্ছে যে ঘরগুলো আমরা করে দিচ্ছি সেগুলো এখন আপনার সম্পত্তি। যে নিচ্ছেন বা পাচ্ছেন সেটি আপনার নিজের সম্পত্তি। কাজেই এই ঘরগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ এবং যত্ন করার দায়িত্ব আপনাদের। এখানে বিদ্যুৎ ব্যবহারে অবশ্যই সাশ্রয়ী ও মিতব্যয়ী হতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যে জিনিস আপনি পাচ্ছেন তার জন্য কোনো অর্থ খরচ করতে হচ্ছে না। কিন্তু নিজের সম্পদ হিসেবে আপনাকেই যত্ন নিতে হবে।’ পরে প্রধানমন্ত্রী ৭০টি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন