বিজ্ঞাপন

এসএসসি : পুনঃনিরীক্ষণে পাস ১০২ জন, জিপিএ-৫৮৭১ জন

June 11, 2024 | 6:11 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণে আরও ৮৭১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। ১০২ জন ফেল থেকে পাস করেছে। এ নিয়ে পরীক্ষার ফল পাল্টেছে মোট ২ হাজার ৬০ জনের।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১১ জুন) আবেদনকারী এসএসসি পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের পর এ ফলাফল ঘোষণা করেছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ এম এম মুজিবুর রহমান।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে শুরু হয়েছিল এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর, তিন পার্বত্য জেলা এবং কক্সবাজার মিলিয়ে এবার পরীক্ষার্থী ছিল এক লাখ ৪৫ হাজার ৭৫৩ জন। উপস্থিত ছিল এক লাখ ৪৫ হাজার ২৪ জন।

গত ১২ মে প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, চলতি বছরে পাস করে এক লাখ ২০ হাজার ৮৭ জন। পাসের হার ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ এম মুজিবুর রহমান জানান, ফলাফল ঘোষণার পর ৭৬ হাজার ৪২টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের জন্য ২৮ হাজার ৩৫১ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেন। সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে সাধারণ গণিতে, ৮ হাজার ২৯টি। ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে জমা পড়ে ৭ হাজার ৪৩১টি করে। বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে ৪ হাজার ৫০০ জন।

বিজ্ঞান বিভাগের বিষয়গুলোর মধ্যে পদার্থবিদ্যায় ৪ হাজার ৫৭৪টি, রসায়নে ৪ হাজার ৯৫৮টি ও জীব বিজ্ঞানে ৩ হাজার ৯২০টি ও উচ্চতর গণিতে ৩ হাজার ৯২০ টি খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন জমা পড়ে। ব্যবসায় শিক্ষা শাখার বিষয়গুলোর মধ্যে হিসাব বিজ্ঞানে ২ হাজার ৩১৮টি, ব্যবসায় উদ্যোগে ২ হাজার ৭৪টি, ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিংয়ে ১ হাজার ৩১২টি আবেদন জমা পড়ে।

এছাড়া মানবিক বিভাগের ভূগোলে ৩৭২, পৌরনীতিতে ৮৩৬, অর্থনীতিতে ৮২টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন জমা পড়ে। সাধারণ বিজ্ঞানে ৪ হাজার ৬০০টি, কৃষি শিক্ষায় ১ হাজার ৫১৭টি, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতিতে ৫ হাজার ৮০৫টি, গার্হস্থ্য বিজ্ঞানে ৬২৮টি, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতায় ৭৩৭টি, আইসিটিতে ১ হাজার ২০৫ টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেন পরীক্ষার্থীরা। ইসলাম ধর্মে ৩ হাজার ৭৪৩টি, হিন্দু ধর্মে ৮৭৫টি, বৌদ্ধ ধর্মে ১৬৭টি, খ্রিষ্টান ধর্মে ১০টি করে উত্তরপত্র নিরীক্ষণের আবেদন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, পুনঃনিরীক্ষণে দুই হাজার ষাট জনের ফলাফল পরিবর্তিত হয়েছে। এর মধ্যে ১০২ জন পরীক্ষার্থী আগে ফেল করলেও পুনঃনিরীক্ষণের পর তারা পাস করেছেন। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন আরও ৮৭১ জন, যার মধ্যে ফেল করা এক পরীক্ষার্থীও আছেন। আর জিপিএ ও সিজিপিএ বেড়েছে ৭০৬ জনের।

এছাড়া ১৬৫ জনের জিপিএ বাড়লেও সিজিপিএ বাড়েনি। পাশাপাশি ১ হাজার ১৮৯ জনের পরীক্ষার নম্বর বাড়লেও জিপিএ পরিবর্তন হয়নি।

সারাবাংলা/আরডি/এনইউ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন