বিজ্ঞাপন

২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটাতে চায় জার্মানি

June 14, 2024 | 4:56 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

শেষবার ১৯৯৬ সালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ছুঁয়ে দেখেছিল জার্মানি। এরপর ২৮ বছর পেরিয়ে গেছে। এর ভেতর ২০১৪ সালে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শিরোপা জিতলেও ইউরো জয়ের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেছে জার্মানদের। তবে এবার সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার বেশ বড়সড় সুযোগ এসেছে। এবারের ইউরোর আয়োজক যে জার্মানরাই।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১৪ জুন) স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জার্মানদের ম্যাচ দিয়েই উঠছে এবারের ইউরো ২০২৪ আসরের পর্দা। বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

উদ্বোধনী দিনেই স্কটল্যান্ডের মতো শক্ত প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত জার্মানরা। চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বর্তমান কোচ হুলিয়ান নাগেলসম্যান বললেন স্কটিশরা বিপদজনক দল, তাদের বিপক্ষে সতর্ক হয়েই খেলতে হবে।

বিশ্বকাপের গত দুই আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার বিষাদ সঙ্গী জার্মানির। গত ইউরোয় তাদের পথচলা থেমেছিল শেষ ষোলোয়, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে। তবে ঘরের মাঠে নিজেদের সবকিছু উজাড় করে দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন নাগেলসম্যান।

বিজ্ঞাপন

জার্মান কোচ বলেন, ‘তারকায় ঠাসা দল স্কটল্যান্ড নয়, কিন্তু এটাই তাদেরকে বিপজ্জনক দল তৈরি করেছে। কেননা, তাদের দলে ক্ষিপ্র গতির, ধ্রুপদী স্কটিশ মানসিকতার খেলোয়াড় আছে, যারা সবটুকু নিংড়ে দেয়। যখন আমি নিজের খেলোয়াড়দের চোখে তাকাই। আমি তাদের চোখে দেখি অনেক বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাস, এটাই আমি দেখতে চাই। নিজেদের মাঠে খেলার সুবিধা আমাদের আছে, আমরা জিততে চাই। আমরা চাপকে হারাতে পারি এবং স্কটল্যান্ডকেও হারাতে পারি।’

গত অক্টোবরে জার্মানির হাল ধরা নাগেলসমানের উপলব্ধি, স্কটল্যান্ডের চেয়েও দলকে সাফল্যের পথে ফেরানোর বড় চাপ আছে তাদের কাঁধে।

তিনি বলেন, ‘প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ডের চেয়ে আরও বড় চাপ আমাদের ওপর আছে এবং তারা সেটাই পুঁজি করার চেষ্টা করবে। তাদের ক্রসগুলো এড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করতে হবে আমাদের।’

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে ইউরোতে নিজেদের দুঃসময়ের স্মৃতি ভুলে সামনের দিকে এগোতে চান জার্মান অধিনায়ক ইকাই গুন্দোয়ান। তিনি বলেন, ‘কোচ আমাদের আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছেন; পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়েছেন; আমাদের করণীয় কী, তা আলোচনা করেছেন…প্রত্যেকে জানে, তাদের কাছে প্রত্যাশা কী এবং তারা মাঠে সবটুকু নিংড়ে দিতে পারে। যেটা আমাদের বিগত টুর্নামেন্টগুলোর নেতিবাচক অভিজ্ঞতা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে। কোনো ম্যাচই প্রথম ম্যাচের মতো নয়। কেননা, প্রথম ম্যাচের প্রেরণা ও উচ্ছ্বাস আপনি পরের ম্যাচগুলোতে টেনে নিতে পারবেন। এ কারণে আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হচ্ছে, আগামীকালের ম্যাচটি জেতা।’

 

সারাবাংলা/এসএস

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন