বিজ্ঞাপন

ছুটি শেষ, কর্মজীবীদের ফেরার স্রোত শুরু

June 19, 2024 | 9:00 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঈদের তিন দিন ছুটির সঙ্গে আগের দুদিনের সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে পাঁচ দিনের ছুটি শেষ। খুলে গেছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। কাজে যোগ দিতে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবীরা। অনেকে পরিবারসহ ফিরলেও কেউ কেউ গ্রামে পরিবার রেখে একাই ফিরছেন।

বিজ্ঞাপন

অনেকে আবার ঈদের ছুটির সঙ্গে পরের দুদিনও ছুটি নিয়েছেন। তারা একেবারে শুক্র-শনিবারের ছুটি শেষে অফিসে যোগ দেবেন আগামী সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার (২৩ জুন)। অন্যদিকে ছুটি না পেয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করতে না পারা অনেকেই ঈদ শেষে স্বজনদের টানে ফিরছেন বাড়ি।

বুধবার (১৯ জুন) কমলাপুর রেল স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকায় ফেরা প্রায় প্রতিটি ট্রেনই ছিল যাত্রীতে পূর্ণ। যাত্রীরা জানিয়েছেন, ঈদযাত্রার মতোই ফিরতি যাত্রাও ছিল হয়রানিমুক্ত ও স্বাচ্ছন্দ্যের।

এ দিন যশোর থেকে ট্রেনে ঢাকা ফিরেছেন শাহজালাল। তিনি বলেন, ছুটি শেষ। অফিস খুলে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে ফিরতে হল। পরিবার রেখে আসছি। তারা শনিবার ফিরবেন। খুলনা থেকে ফেরা যাত্রী মহসিন হোসেন বলেন, রোজার ঈদের মতোই কোরবানির ঈদযাত্রাও বেশ শান্তির ছিল।

বিজ্ঞাপন

এর আগে সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে যেসব ট্রেন ছেড়ে গেছে, সেগুলোতেও ছিল ঘরমুখী মানুষের ভিড়। কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানালেন, ঈদে ছুটি পাননি বলে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যেতে পারেননি। এখন ঈদের ছুটিতে যাওয়া কর্মীরা ফিরে আসায় এখন তারা ছুটি নিয়েছেন।

কমলাপুর রেল স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. মাসুদ সারওয়ার সারাবাংলাকে বলেন, আমরা গত ঈদ থেকে চেষ্টা করছি ট্রেনে ঈদযাত্রা যে স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ হয়। এবার ট্রেনে কোনো শিডিউল বিপর্যয় ঘটেনি। ট্রেন পৌঁছাতেও দেরি করেনি।

বিজ্ঞাপন

এখনো ঈদে বাড়ির পথে থাকা যাত্রী প্রসঙ্গে মাসুদ সারওয়ার বলেন, অনেক পেশা রয়েছে, যেখানে ঈদের ছুটির সময়ও দায়িত্ব পালন করতে হয়। জরুরি সেবায় নিয়োজিত এমন অনেকেই আছেন। তারা হয়তো ঈদের পরে ছুটি কাটানোর সুযোগ পেয়েছেন। যে কারণে এখনো বাড়ি যাচ্ছে মানুষ।

এদিকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ মানুষ গ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরছেন। পরিবহণ খাতের সংশ্লিষ্টরা জানালেন, ভোর থেকেই শুরু হয় মানুষের মানুষের ঢল। সবচেয়ে বেশি যাত্রী ঢাকা নেমেছেন সকাল ১০টার মধ্যে। এরপর সে গতি কিছুটা শ্লথ হয়েছে। তবে সারা দিনই ঢাকা থেকে অন্য জেলায় যাওয়া যাত্রীর তুলনায় ঢাকায় ফেরা যাত্রীর সংখ্যাই ছিল বেশি।

যারা পরিবার নিয়ে ঢাকা ফিরেছেন, সায়দাবাদ থেকে সিএনজি, রিকশা বা বাসে করে ছুটছিলেন বাসার পথে। অনেকে আবার পরিবার রেখে একাই ফিরেছেন কর্মস্থলে যোগ দিতে। তাদের অফিসের রুটে থাকা গণপরিবহণ খুঁজতে দেখা গেল।

বিজ্ঞাপন

এদিকে ঈদে নানা কারণে ছুটি না পাওয়া এবং কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকা মানুষজন গ্রামে ফিরছেন। সেই সংখ্যাও কম নয়। পরিচিত কোম্পানির বাসগুলো যাত্রী পূর্ণ করেই ঢাকা ছাড়ছে। তবে সার্বিকভাবে বাস টার্মিনালের চিত্র কিছুটা ঢিলেঢালা। তেমনটি দেখা গেল গাবতলী বাস টার্মিনালেও। বরিশাল থেকে আসা হানিফ পরিবহণের একটি বাসের চালকের সহকারী জানান, যাত্রী সংখ্যা এখনো বাড়েনি। সকাল থেকে যাত্রী নিয়ে তিনটি বাস ঢাকা ছেড়ে গেছে বলে জানালেন দর্শনা ডিলাক্সের কাউন্টার মাস্টার রাজু।

এদিকে সদরঘাটেও সকাল থেকে দূরপাল্লার লঞ্চ যাত্রী নিয়ে ফিরেছে। বিকেলে ঈদের তৃতীয় দিনেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক যাত্রীকে গ্রামে যেতে দেখা গেছে। তবে সে তুলনায় ফিরতি যাত্রীর সংখ্যা কম।

সারাবাংলা/জেআর/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন