বিজ্ঞাপন

‘দুদক-এনবিআর মতিউরকে ধরতে পারেনি, ধরল একটি ছাগল’

June 24, 2024 | 10:50 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

সংসদ ভবন থেকে: হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা দুর্বল হয়ে গেছে! একজন ‘ভদ্রলোক’কে দুদক ধরতে পারেনি, এনবিআর ধরতে পারেনি, বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিট ধরতে পারেনি। সেখানে মতিউর রহমানকে ধরল একটা ছাগল।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৪ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করছিলেন।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘এই ছাগলকাণ্ড না ঘটলে, আর ফেসবুকে ভাইরাল না হলে এই লোকের বিষয় তো সামনেই আসতো না। বেনজীর কাণ্ড! মাননীয় সাবেক আইজিপি! উনি এত বড় হয়ে গেলেন, মন্ত্রণালয় জানল না! মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানলেন না! আর কিছুদিন সময় পেলে পুরো গোপালগঞ্জ কিনে ফেলতেন এই বেনজীর সাহেব। এটার দায় মন্ত্রণালয় এড়াতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘অর্থপাচার এই সময়ের বড় সমস্যা। কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না। দুর্নীতি করলে তো সেই টাকা অর্থনীতিতে ফিরিয়ে আনা যায়। আমরা তো বঙ্গবন্ধুর খুনিদের-ই ফিরিয়ে আনতে পারিনি, পাচার করা টাকা ফেরত আনব কীভাবে?’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকারের মধ্যে রাসেলস ভাইপার সাপ ঢুকে গেছে। প্রকৃতিতে যখন সাপ আসে, তখন বেজি সেই সাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই সরকারে মধ্যে রাসেলস ভাইপার সাপ ঢুকেছে। কিন্তু সেই সাপকে ধরার মতো বেজি নেই। তাই সাপ বেড়েই চলেছে।’

সুমন বলেন, ‘এখন কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। যদি এমন হয় যে, কিছু জমানো টাকা রয়ে গেছে যেটাকে সাদা করবেন, তাতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু, এই সুযোগ ব্যবহার করে বেনজীর আর মতিউরের টাকাও যদি সাদা হয়ে যায়, এদের আদর্শের উত্তরাধিকারদের টাকাও যদি সাদা হয়ে যায়, এর চেয়ে দুঃখের আর কিছু থাকবে না।’

সায়েদুল হক বলেন, ‘এই সরকারকে কয়েকটা চাপ নিতে হবে। এই বাজেটে ঋণ নিয়ে উন্নয়ন ব্যয় মেটানো হবে। আড়াই লাখ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হবে। এমপি হওয়ার পর আমি এক কোটি টাকা দিয়ে গাড়ি কিনেছি। ৫০ লাখ টাকা ব্যাংক ঋণ নিয়েছি। এতেই রাতে ঘুম হয় না। আড়াই লাখ কোটি টাকা ঋণের চাপ নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কীভাবে ঘুমাবেন, তা উনিই জানেন। তবে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিনি। বঙ্গবন্ধুকন্যা এমন এক পাখি যিনি বসেন ডালের উপর। কিন্তু ভরসা রাখেন নিজের পাখার উপর। এ কারণে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে বিশ্বব্যাংক সরে গেলেও নিজের পাখায় ভর করে তিনি ঠিকই সেতু তৈরি করেছেন।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা যখন দেউলিয়া হয়, তখন সবাই বলেছিলেন বাংলাদেশের দেউলিয়া হওয়া সময়ের ব্যাপার। পাকিস্তান যখন দেউলিয়ার পথে, তখনও একই কথা বলেছিল সবাই। ভারত অর্থনৈতিকভাবে চাপে পড়লেও একই কথা সামনে এসেছে। কিন্তু, আমাদের অর্থনৈতিকভাবে দাবিয়ে রাখা যায়নি। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার সম্পদ আমাদের চেয়ে কম ছিল না, শুধু তাদের হাতে ছিল না একজন শেখ হাসিনা।’

সুমন বলেন, ‘এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া। সরকার যেমন সংসদে বাজেট দিচ্ছে, এই সরকারকে ব্যর্থ করতে আরও একটা বাজেট আছে। সেই বাজেটে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস। তার সঙ্গে আছে ডলার।’

সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন