বিজ্ঞাপন

সংবাদ ও সাংবাদিকের সঙ্গে আমার সর্ম্পক ৭৫ বছরের : অর্থমন্ত্রী

May 31, 2018 | 10:09 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা:  অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, সংবাদমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার সর্ম্পক ৭৫ বছরের। আমার বয়স যখন ১০ বছর। অর্থাৎ ১৯৪৪ সালে আজাদ পত্রিকায় মুকুলফোর্স নামের একটা সাপ্তাহিক অথবা পাক্ষিক পাতা বের হতো। আমি এর ১১৫৫ নম্বর সদস্য ছিলাম।

বৃহস্পতিবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াপল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)-এর নতুন অফিস ‌‘আপনালয়ে ইআরএ’-এর শুভ উদ্ধোধন উপলক্ষে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল-এর সভাপতিত্বে উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির, সাবেক গর্ভনর ড. ফরাস উদ্দিন আহমেদ, আইডিআরএ-এর চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারি, বাংকের এমডিদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)-এর সভাপতি মাহবুবুর রহমান, পরিকল্পনা কমিশনের (ইআরডি) সদস্য ড. শাসসুল আলম, এফবিসিসিআই‘র সহসভাপতি মুনতাকিম আশরাফ, ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের চার ভাইবোন মুকুলফোর্সের সদস্য ছিলাম। আমার সদস্য নম্বর ছিল ১১৫৫। এটি খুবই ছোট প্রতিষ্ঠান, কাজকর্ম খুব বেশি ছিল না। তারপরেও সেখানে কিছু উদ্যেগী লোক ছিলেন। তারা ভাবতেন এটা নিয়ে কিছু করা যায় কি-না। শিল্পী কামরুল হাসান ছিলেন। তিনিও সেখানে সাহায্যে সহযোগিতা করতেন। ফলে শুরুতে একটা ভালো মুকুলমেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। সে সময় থেকে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সংবাদ পত্রের সঙ্গে এবং মুকুলফোর্সের সঙ্গে আমার সর্ম্পক।

মুহিত বলেন, ১৯৪৭ সালে মুকুলফোর্স কিছুটা মৃতপ্রায় হয়ে পড়লে ১৯৪৮ সালে এটা আমি রিভাইভ করি। এ ছাড়াও যুগবিধি নামে একটা সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা ছিল। সেটা ১৯২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত। সেই যুগবিধিতে আমি একটা পাতা সম্পাদনা করতাম। ওই পাতায় আমি লেখা সংগ্রহ করতাম। তবে এ ব্যাপারে খুব বেশি বন্ধুবান্ধবের সাহায্যে পেতাম না। একমাত্র বন্ধু গ্রিন ডেল্টার নাসির উদ্দিন চৌধুরী কিছুটা সহযোগীতা করত।

ওই পাতায় নিয়মিত লিখতাম জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, লেখা না পেলে আমি নিজে বিভিন্ন নামে লিখতাম। যা খুশি তাই লিখতাম। কারণ পাতাটাতো পূরণ করতে হবে। তাই কিছু না কিছু নিজের ইচ্ছামাফিক লিখতাম।

বিজ্ঞাপন

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আমার খুব মনে আছে ১৯৫০ সালে বড় একটা ভুমিকম্প হয়। তখন ভুমিকম্পের ওপর বহু কষ্ট করে, এটা সেটা যোগাড় করলাম। পড়ে দেখলাম এটা একটা কাঠকোষ্ঠা স্টোরি হবে। মানুষ পড়ে খুব একটা আনন্দ পাবে না। তারপরে আমি নিজে মনগড়াভাবে তৈরি করলাম কেন ভূমিকম্প হয়। এ নিয়ে একটা গল্প লিখলাম। যা খুবই বাজে হয়েছিল।

সারাবাংলা/জিএস/এমআই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন