বিজ্ঞাপন

বাজেটের অর্থায়নে পুঁজিবাজারকে অন্তর্ভুক্তের আহ্বান বিএমবি’র

June 25, 2024 | 5:36 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর লক্ষ্যে যে অর্থায়ন প্রয়োজন তা সংগ্রহে পুঁজিবাজার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। জাতীয় বাজেট ঘাটতির অর্থায়নে গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারকে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। এ জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো তাদের পরিচালন আয়ের ওপর ধার্য করা কর কমানোসহ পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ৮টি প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি। কর হ্রাস করা হলে পুঁজিবাজার থেকে অর্থায়নে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো বেশি ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মনে করে বিএমবিএ।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিএমবিএ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব প্রস্তাব জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৬ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করায় অর্থমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীকে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে স্বাগত। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর লক্ষ্যে যে অর্থায়ন প্রয়োজন তা সংগ্রহে পুঁজিবাজার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এক্ষেত্রে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে বিএমবিএ’র প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরা হলো-

  • ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি পূরণের অধিকাংশ ব্যাংকিং উৎস হতে ধার করে সংগ্রহের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়াও অ-ব্যাংকিং উৎস হতে ধার করার মাধ্যমেও বাজেট ঘাটতি পূরণের একটি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে অর্থ সংস্থানের দীর্ঘমেয়াদি উৎস হিসেবে পুঁজিবাজার থেকে অর্থায়নের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
  • পুঁজিবাজারের প্রাইমারি মার্কেটের মাধ্যমে বিভিন্ন বন্ড/সুকুক/ডিবেঞ্চার ইত্যাদি ইস্যুর মাধ্যমে বাজেটে অর্থায়নের উদ্যোগে নেওয়া যেতে পারে।
  • জাতীয় বাজেটের ঘাটতি অর্থায়ন পুঁজিবাজারের মাধ্যমে করতে হলে এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো। অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি মার্চেন্ট ব্যাংকসগুলো স্টক, বন্ড এবং অন্যান্য সিকিউরিটিজের মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থায়ন ও পুঁজিবাজারে নতুন কোম্পানির তালিকাভুক্তিতে কাজ করে। এসব কাজের আওতা বাড়লে কর আয় অনেক বৃদ্ধি পাবে।
  • মার্চেন্ট ব্যাংকসগুলোকে তাদের পরিচালন আয়ের ৩৭.৫ শতাংশ কর দিতে হয়, যেখানে সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের কর দিতে হয় ২৭.৫ শতাংশ। এ মতাবস্থায় মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে দক্ষভাবে পরিচালনার জন্য প্রযোজ্য করের হার ২৭.৫ শতাংশে আনা প্রয়োজন।
  • পুঁজিবাজারের মূল ভিত্তি হচ্ছে প্রাইমারি মার্কেট। বিভিন্ন উদ্যোক্তারা, এসএমই কোম্পানি, স্টার্ট-আপ কোম্পানি এবং অন্যান্য অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহ এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য প্রাইমারি মার্কেটকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া সহজীকরণ, কমপ্লায়েন্স এবং আইনকানুন বিনিয়োগবান্ধব ও সহজীকরণ এবং উপদেষ্টা সহায়তা প্রদানের মতো বিভিন্ন কার্যকরী পলিসি নেওয়া যেতে পারে।
  • পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিদ্যমান কর হারের ব্যবধান ৫ শতাংশ। যা খুব কম, সেজন্য কোম্পানিগুলোর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহ কম। জাতীয় বাজেটে তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে কর হারের ব্যবধান বাড়ানো হলে অনেক প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আকৃষ্ট হবে। এ ছাড়াও অ-তালিকাভুক্ত বা নতুন নিবন্ধিত কোম্পানিগুলোকে নির্দিষ্ট সময় শেষে তালিকাভুক্ত করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।
  • দেশের বৃহৎ ও স্বনামধন্য কোম্পানিগুলো, বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানি ও সরকারি লাভজনক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য উৎসাহিত করার লক্ষ্যে পলিসি সহায়তার পাশাপাশি তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য করপোরেট ট্যাক্সের হার ১৫ শতাংশ এবং ভ্যাট ছাড় দেওয়া যেতে পারে। এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভালো কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করবে।
  • পুঁজিবাজার থেকে ৫০ লাখ টাকার ওপর ক্যাপিটাল গেইনের ক্ষেত্রে কর ধার্যের যে প্রস্তাব করা হয়েছে তা পুনর্বিবেচনা করে ৫০ লাখ টাকার উপরে হতে বিভিন্ন স্ল্যাবভিত্তিক কর ধার্য করা যেতে পারে এবং এই ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স ফাইলান ট্যাক্স হিসেবে বিনিয়োগকারীর ট্যাক্স ফাইলে বিবেচিত হবে। এছাড়াও পুঁজিবাজার থেকে কর সংগ্রহ বাড়ানোর লক্ষ্যে কর ব্যবস্থা উন্নত ও বাড়ানো যেতে পারে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন