বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামে ফ্লাইওভার ধস : মামলার রায় ১০ জুলাই

June 25, 2024 | 5:57 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: একযুগ আগে চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাটে ফ্লাইওভার ধসে ১৩ জনের মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। আগামী দশ জুলাই মামলার রায় ঘোষণার সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৫ জুন) চট্টগ্রামের চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞা এ আদেশ দিয়েছেন বলে বেঞ্চ সহকারি ওমর ফুয়াদ জানিয়েছেন।

ওমর ফুয়াদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘মোট ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। সাতজন আসামি সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাত কর্মদিবসে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। এরপর আদালত ১০ জুলাই রায়ের দিন ধার্য করেছেন।’

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডার ভেঙে ১৩ জন নিহত হন। আহত হন অর্ধশতাধিক। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ করছিল। তখন সিডিএর চেয়ারম্যান ছিলেন বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুচ ছালাম।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনার পর ২৬ নভেম্বর নগরীর চান্দগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। মামলা করেছিলেন চান্দগাঁও থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ।

মামলায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৫ জনকে আসামি করা হয়। এরা হলেন- প্রকল্প পরিচালক সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, সহকারি প্রকৌশলী তানজিব হোসেন ও উপসহকারী প্রকৌশলী সালাহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। এছাড়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মীর আক্তার অ্যান্ড পারিশা ট্রেড সিস্টেমসের (জেভি) ১০ জন এবং বেসরকারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসএআরএম অ্যাসোসিয়েটস অ্যান্ড ডিপিএমের ১২ জনকে আসামি করা হয়।

তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর চান্দগাঁও থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম শহীদুল ইসলাম আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে সিডিএর তিন কর্মকর্তা, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ তিনজন এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মতিনসহ ১২ জনের নাম বাদ দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

২০১৪ সালের ১৮ জুন আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মজিবুর রহমান।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন—ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তৎকালীন প্রকল্প ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনজুরুল ইসলাম, প্রকল্প প্রকৌশলী আব্দুল জলিল, আমিনুর রহমান, আব্দুল হাই, মো. মোশাররফ হোসেন রিয়াজ, মান নিয়ন্ত্রণ প্রকৌশলী শাহজান আলী ও রফিকুল ইসলাম। এদের মধ্যে রফিকুল ইসলামের নাম মামলার এজাহারে ছিল না। তদন্ত শেষে পুলিশ তার নাম অভিযোগপত্রে যুক্ত করেন।

২০১০ সালে এম এ মান্নান (বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার) ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ শুরু করেছিল চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। নির্মাণ শেষে ২০১৭ সালে সেটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/এনইউ

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন