বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনার জন্য প্রাচীর গড়ে তুলুন: লতিফ সিদ্দিকী

June 26, 2024 | 9:55 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য নিরাপত্তার প্রাচীর গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেবল আওয়ামী লীগের সম্পদ নন, তিনি জাতীয় সম্পদ। অনিশ্চয়তার অন্ধকার ও দিশেহারার আবর্তে যখন বাংলাদেশ আবর্তিত, তখনই শেখ হাসিনার আগমন। অনেক সংগ্রাম, অনেক রক্ত বিসর্জন, অনেক আত্মদান, কালবৈশাখি, মরুঝড় মোকাবিলা করে তার আজকের অবস্থান। তাকে প্রলয়াবর্তে নিক্ষেপ করলে জাতি আবার অন্ধকারে নিক্ষিপ্ত হবে, দিশেহারা- পথহারা হয়ে পড়বে। জাতিকে আহ্বান জানাব, জাতীয় প্রয়োজনে শেখ হাসিনার জন্য প্রাচীর গড়ে তুলুন। জনপ্রাচীরের চেয়ে মজবুত ও নিরাপদ প্রাচীর আর হয় না।

বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন।

লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমাদের একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধ, পঁচাত্তরের কালরাত্রি এবং আজকের ২০২৪ ইতিহাসে বিচার পাবে। জনগণই বিচার করবে। আজ আমরা সাফাই দেওয়া বা রেহাই কিন্তু পাবে না।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমাদের রাষ্ট্রদর্শন কী? ঢালাওভাবে বঙ্গবন্ধু ও তার বক্তৃতা-বিবৃতিকে আমরা রাষ্ট্রপরিচালনার পথ বলে বিবেচনা করি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কলরব করা এক বিষয়, কিন্তু তাকে জানা-বোঝা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে পূর্ণ রূপে জনসম্মুখে নিয়ে আসা আরেক বিষয়। বঙ্গবন্ধুর সুনির্দিষ্ট নীতি-আদর্শ অবশ্যই আছে। তার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল এই বাংলার মানুষের মুখে হাসি দেখা। তিনি ছিলেন সমন্বয়বাদী। তার আদর্শকে ধারণ করতে হবে।

লতিফ সিদ্দিকী আরও বলেন, টেকসই উন্নয়নের নামে আমরা যেসব কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছি তার জন্য আমাদের জনপরিসর প্রস্তুত নয়। সে জন্য এসব কর্মকাণ্ড টেকসইও নয়। দেশের এসব উন্নয়ন জনদুর্গতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ৩০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উদপাদন করেও আজ জনদুর্ভোগ মেটানো যাচ্ছে না। কারণটাও খুব স্পষ্ট— যাদের ওপর জনগণের সেবার দায়িত্ব, তারা ব্যক্তিস্বার্থে দুর্নীতিতে ডুবে আছে। রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধির চরিত্র এক ও অভিন্ন হয়ে দেখা যাচ্ছে। স্বার্থপরতা আজ সবাইকে গ্রাস করে ফেলেছে।

সরকারের কর্তৃত্ববাদী আচরণের সমালোচনা করে এই স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য বলেন, বাজেট নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত থাকতেই পারে। এই যে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা বাজেট নিয়ে এত কথা বলছেন, মন্ত্রণালয় কি শুনছে? না, শুনছে ন। আকারে-প্রকারে গণতন্ত্রের ঠাঁট-বাট বজায় আছে, কিন্তু তা একনায়কতন্ত্রে পরিণত। রাজনীতিতে ব্যক্তি পূজা নিশ্চিতভাবে স্বৈরতন্ত্রের রাজপথ ধরে হাঁটার সামিল। প্রকৃত রাষ্ট্র চাইলে রাজনৈতিক গণতন্ত্র প্রয়োজন, সামাজিক গণতন্ত্র প্রয়োজন। সাম্য-মৈত্রী-স্বাধীনতাকে সমান্তরালের চালিকাশক্তি বলে স্বীকার করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

লতিফ সিদ্দিকী আরও বলেন, বাঙালিদের বৈষম্য ও শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সবসময় সরব ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি জানতেন, রাজনৈতিক শক্তি যতই দানবীয় ও শক্তিধরই হোক, তা কখনোই জনগণের শক্তিকে ছাপিয়ে যেতে পারবে না। যারা রাজনৈতিক শক্তিতে বলীয়ান ভেবেছিল, তারা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন